ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

রোজায় ওজন ঠিক রাখতে কোন ফল কতটুকু খাবেন

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১০:১৭:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
  • ১১১১ বার পড়া হয়েছে
সুস্থ জীবনের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণের কোনো বিকল্প নেই। ওজন কমাতে আমাদের শরীর ও জীবনযাপনের ধরন বুঝে ডায়েট করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। আর ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে সারা দিনের খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন রকমের ফল থাকতেই হয়। রসাল, পানি ও আঁশযুক্ত বলে ফল পেট ভরায় কম ক্যালরিতে। সেই সঙ্গে পেট ভরা থাকার অনুভূতি দেয়। আবার ফলের মনকাড়া রং–রূপ, ফ্লেভার আর স্বাদ সারা দিন ডায়েটে থাকার একঘেয়েমি দূর করে দেয়। বাড়তি পাওয়া হিসেবে মেলে ভিটামিন আর খনিজ লবণের পাশাপাশি বিভিন্ন জরুরি ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস। ফলে থাকা চিনি সাধারণ সাদা চিনির মতো ক্ষতিকর নয়। তাই সাধারণত ফল খেতে সেভাবে বারণ নেই ডায়েটে। বরং মিষ্টি কিছু খাওয়ার জন্য মন আনচান করলে ফল খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। রোজার দিনে ইফতারিতেও ফলের কদর খুব। সারা দিন রোজা রেখে রসালো সব ফল দিয়ে ইফতারি করার মজাই আলাদা। তবে রোজার মাসে ওজন বশে রাখার জন্য কোন ফল কতটুকু খেতে হবে তা জেনে খাওয়া উচিত। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হবে।

আপেল

দিনে একটি থেকে দুটি মাঝারি সাইজের আপেল খাওয়া যায়। ইফতারি বা ইফতারি আর সাহ্‌রির মাঝের সময়ে স্ন্যাক হিসেবে রাখতে পারেন। মাঝারি সাইজের ২০০ গ্রাম ওজনের আপেলে ১০০ ক্যালরি থাকে।

লেবু

১টি বড় তাজা লেবুর রসে ১২ ক্যালরি থাকে। অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে দিনে দুটির বেশি না খেলেই ভালো। পানিতে লেবু চিপে ইফতারে পান করা যায়। সঙ্গে একটু মধু দেওয়া যেতে পারে।

তরমুজ

এখন সারা বছরই তরমুজ মেলে বাজারে। আর রোজার সময় বাজারে উঠেছেও এবার বেশ। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য এটি এক আদর্শ ফল বলে বিবেচিত। ইংরেজি নাম ওয়াটার মেলন শুনেই বোঝা যায় এতে জলীয় অংশ বেশি, যা কোনো ক্যালরি যোগ করে না দেহে। তরমুজের প্রায় ৯১ শতাংশই পানি। কোলেস্টেরল বা ফ্যাটের লেশমাত্র নেই তরমুজে। ১০০ গ্রাম তরমুজে মাত্র ৩০ ক্যালরি। তাই দিনে নিশ্চিন্তে খাওয়া যায় ৩০০ গ্রাম পর্যন্ত।

আনারস

ভিটামিন সি যুক্ত এ ফলটি রোগ তাড়াতে মহৌষধ হিসেবে বিবেচিত। এ ছাড়া হজমেও সহায়তা করে আনারস। ১০০ গ্রাম আনারসে ৫০ ক্যালরি থাকে। আর দৈনিক এক কাপ হচ্ছে এর আদর্শ পরিবেশনার পরিমাণ।

আনার

শরীরের জন্য আনার বা ডালিম খুবই ভালো। এর চোখজুড়ানো দানাগুলোর আধা কাপে ৭০ ক্যালরি থাকে। দিনে ১ থেকে ২ কাপ খাওয়া যায় এটি। আনারের দানা চিবালে ক্ষতিকর এলোমেলো খাবারের ক্রেভিং হয় না। তবে স্ন্যাক হিসেবে একবারে এক কাপের বেশি না খেলেই উত্তম।

কমলালেবু

১৩০ গ্রাম ওজনের একটি মাঝারি কমলালেবুতে ৬১ ক্যালরি থাকে। দিনে দুই থেকে তিনটি খাওয়া যায়।

কলা

কলা ফল হলেও এটি খুবই উচ্চ ক্যালরিসম্পন্ন। মিষ্টি আর শর্করা বেশি থাকলেও ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে কলার উপকারী ভূমিকা আছে। তার কারণ এতে আঁশ তো আছেই, এর শর্করা হজম হতে সময় ও ক্যালরি খরচ হয়। একটি মাঝারি কলায় ১০৫ ক্যালরি থাকে। দিনে দু–একটি খাওয়াই যায়, বিশেষ করে ব্যায়ামের আগে খেলে মিলবে প্রয়োজনীয় শক্তি।

তথ্যসূত্র: হেলথলাইন

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

রোজায় ওজন ঠিক রাখতে কোন ফল কতটুকু খাবেন

আপডেট সময় ১০:১৭:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
সুস্থ জীবনের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণের কোনো বিকল্প নেই। ওজন কমাতে আমাদের শরীর ও জীবনযাপনের ধরন বুঝে ডায়েট করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। আর ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে সারা দিনের খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন রকমের ফল থাকতেই হয়। রসাল, পানি ও আঁশযুক্ত বলে ফল পেট ভরায় কম ক্যালরিতে। সেই সঙ্গে পেট ভরা থাকার অনুভূতি দেয়। আবার ফলের মনকাড়া রং–রূপ, ফ্লেভার আর স্বাদ সারা দিন ডায়েটে থাকার একঘেয়েমি দূর করে দেয়। বাড়তি পাওয়া হিসেবে মেলে ভিটামিন আর খনিজ লবণের পাশাপাশি বিভিন্ন জরুরি ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস। ফলে থাকা চিনি সাধারণ সাদা চিনির মতো ক্ষতিকর নয়। তাই সাধারণত ফল খেতে সেভাবে বারণ নেই ডায়েটে। বরং মিষ্টি কিছু খাওয়ার জন্য মন আনচান করলে ফল খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। রোজার দিনে ইফতারিতেও ফলের কদর খুব। সারা দিন রোজা রেখে রসালো সব ফল দিয়ে ইফতারি করার মজাই আলাদা। তবে রোজার মাসে ওজন বশে রাখার জন্য কোন ফল কতটুকু খেতে হবে তা জেনে খাওয়া উচিত। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হবে।

আপেল

দিনে একটি থেকে দুটি মাঝারি সাইজের আপেল খাওয়া যায়। ইফতারি বা ইফতারি আর সাহ্‌রির মাঝের সময়ে স্ন্যাক হিসেবে রাখতে পারেন। মাঝারি সাইজের ২০০ গ্রাম ওজনের আপেলে ১০০ ক্যালরি থাকে।

লেবু

১টি বড় তাজা লেবুর রসে ১২ ক্যালরি থাকে। অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে দিনে দুটির বেশি না খেলেই ভালো। পানিতে লেবু চিপে ইফতারে পান করা যায়। সঙ্গে একটু মধু দেওয়া যেতে পারে।

তরমুজ

এখন সারা বছরই তরমুজ মেলে বাজারে। আর রোজার সময় বাজারে উঠেছেও এবার বেশ। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য এটি এক আদর্শ ফল বলে বিবেচিত। ইংরেজি নাম ওয়াটার মেলন শুনেই বোঝা যায় এতে জলীয় অংশ বেশি, যা কোনো ক্যালরি যোগ করে না দেহে। তরমুজের প্রায় ৯১ শতাংশই পানি। কোলেস্টেরল বা ফ্যাটের লেশমাত্র নেই তরমুজে। ১০০ গ্রাম তরমুজে মাত্র ৩০ ক্যালরি। তাই দিনে নিশ্চিন্তে খাওয়া যায় ৩০০ গ্রাম পর্যন্ত।

আনারস

ভিটামিন সি যুক্ত এ ফলটি রোগ তাড়াতে মহৌষধ হিসেবে বিবেচিত। এ ছাড়া হজমেও সহায়তা করে আনারস। ১০০ গ্রাম আনারসে ৫০ ক্যালরি থাকে। আর দৈনিক এক কাপ হচ্ছে এর আদর্শ পরিবেশনার পরিমাণ।

আনার

শরীরের জন্য আনার বা ডালিম খুবই ভালো। এর চোখজুড়ানো দানাগুলোর আধা কাপে ৭০ ক্যালরি থাকে। দিনে ১ থেকে ২ কাপ খাওয়া যায় এটি। আনারের দানা চিবালে ক্ষতিকর এলোমেলো খাবারের ক্রেভিং হয় না। তবে স্ন্যাক হিসেবে একবারে এক কাপের বেশি না খেলেই উত্তম।

কমলালেবু

১৩০ গ্রাম ওজনের একটি মাঝারি কমলালেবুতে ৬১ ক্যালরি থাকে। দিনে দুই থেকে তিনটি খাওয়া যায়।

কলা

কলা ফল হলেও এটি খুবই উচ্চ ক্যালরিসম্পন্ন। মিষ্টি আর শর্করা বেশি থাকলেও ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে কলার উপকারী ভূমিকা আছে। তার কারণ এতে আঁশ তো আছেই, এর শর্করা হজম হতে সময় ও ক্যালরি খরচ হয়। একটি মাঝারি কলায় ১০৫ ক্যালরি থাকে। দিনে দু–একটি খাওয়াই যায়, বিশেষ করে ব্যায়ামের আগে খেলে মিলবে প্রয়োজনীয় শক্তি।

তথ্যসূত্র: হেলথলাইন