ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০২:৪৫:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
  • ১১০১ বার পড়া হয়েছে

গাজীপুর কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনায় আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তারা মারা যায়।

নিহতরা হলো- সোলাইমান (১০) ও রাব্বি (১১)। এনিয়ে এ পর্যন্ত দুর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, সোলাইমানের শরীরের ৮০ শতাংশ ও রাব্বির ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

মৃত সোলাইমানের মামা মো. সোহাগ জানান, ময়মনসিংহের ফুলপুর থানার বালুকজান গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে সোলাইমান। বাবা-মায়ের সঙ্গে কালিয়াকৈরে থাকতো। স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়তো সে। এই ঘটনায় পরিবারটির সবাই সুস্থ থাকলেও গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ হওয়ার পর সেটি দেখতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছিলো সোলাইমান।

এদিকে রাব্বির বাবা শাহ আলম জানান, তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার তারটিয়া গ্রামে। পরিবার নিয়ে গত আট বছর যাবৎ গাজীপুরে থাকেন তিনি। সেখানে ফেরি করে আইসক্রিম বিক্রি করেন। রাব্বী দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলো। গত পাঁচ বছর আগে রাব্বীর মা নাজমা বেগম অসুস্থ হয়ে মারা যান। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। সেই ছোট স্ত্রীর কাছে থাকতো রাব্বী। রাব্বী নাটোর ক্যান্টনমেন্টে চতুর্থ শ্রেণিতে পরে। সে বাবার কাছে বেড়াতে এসেছিলো। আসার পর সেখানে আগুনে দগ্ধ হয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

আপডেট সময় ০২:৪৫:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

গাজীপুর কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনায় আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তারা মারা যায়।

নিহতরা হলো- সোলাইমান (১০) ও রাব্বি (১১)। এনিয়ে এ পর্যন্ত দুর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, সোলাইমানের শরীরের ৮০ শতাংশ ও রাব্বির ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

মৃত সোলাইমানের মামা মো. সোহাগ জানান, ময়মনসিংহের ফুলপুর থানার বালুকজান গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে সোলাইমান। বাবা-মায়ের সঙ্গে কালিয়াকৈরে থাকতো। স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়তো সে। এই ঘটনায় পরিবারটির সবাই সুস্থ থাকলেও গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ হওয়ার পর সেটি দেখতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছিলো সোলাইমান।

এদিকে রাব্বির বাবা শাহ আলম জানান, তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার তারটিয়া গ্রামে। পরিবার নিয়ে গত আট বছর যাবৎ গাজীপুরে থাকেন তিনি। সেখানে ফেরি করে আইসক্রিম বিক্রি করেন। রাব্বী দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলো। গত পাঁচ বছর আগে রাব্বীর মা নাজমা বেগম অসুস্থ হয়ে মারা যান। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। সেই ছোট স্ত্রীর কাছে থাকতো রাব্বী। রাব্বী নাটোর ক্যান্টনমেন্টে চতুর্থ শ্রেণিতে পরে। সে বাবার কাছে বেড়াতে এসেছিলো। আসার পর সেখানে আগুনে দগ্ধ হয়।