ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

রমজানে শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর পানীয়

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১২:২৫:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
  • ১১০৭ বার পড়া হয়েছে

সারাদিন রোজা রেখে তৃষ্ণা মেটাতে প্রয়োজন পানি ও পানীয়।  ইফতারে বিভিন্ন ধরনের শরবত ও পানীয় খেতে পছন্দ করে সবাই। কিন্তু সেগুলো স্বাস্থ্যসম্মত কি না এ ব্যাপারেও খেয়াল রাখা উচিত।

সুস্বাদু ও সহজে তৈরি করা যায় এমন কিছু স্মুদি রেসিপি দেখে নিন

জিন্‌জার বুস্টার পিনাকোলডা

যা যা লাগবে 

আনারস ২ কাপ, আদা (কুচি) ১ চা চামচ, কমলার রস ১ কাপ, চিনি পরিমাণমতো, বরফকুচি পরিমাণমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন 

সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর একটি গ্লাসে বরফকুচি দিয়ে ওপরে ব্লেন্ড করে রাখা জুস ঢেলে পরিবেশন করুন।

ডেট আলমন্ড শেক

যা যা লাগবে 

খেজুর (কুচি) ১ কাপ, কাঠবাদাম ৩ টেবিল চামচ, দুধ দেড় কাপ, চিনি পরিমাণমতো, বরফকুচি পরিমাণমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন 

সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। গ্লাসে বরফকুচি দিয়ে ওপরে ব্লেন্ড করে রাখা মিশ্রণ ঢেলে পরিবেশন করুন।

ক্যারোট আপেল হাইড্রেটর

যা যা লাগবে 
গাজর আধা কাপ, আপেল ১টি, দারুচিনি গুঁড়া আধা চা চামচ, পানি পরিমাণমতো, চিনি পরিমাণমতো।
যেভাবে তৈরি করবেন 
ব্লেন্ডারে সব উপকরণ দিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। গ্লাসে ঢেলে ওপরে সামান্য দারুচিনি গুঁড়া দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
এছারাও রোজা রেখে পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। যেহেতু লম্বা সময় ধরে পানি না খেয়ে থাকা হয়, সেহেতু পর্যাপ্ত পানি পান না করলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পানি ও পানীয় গ্রহণের পাশাপাশি পানি জাতীয় সবজিও খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। এতে সারাদিন শরীর হাইড্রেটেড থাকবে।

সাদা পানি: স্বাস্থ্যকর পানীয়র মধ্যে প্রথমেই থাকবে সাদা পানি। চিনি, লবণ ছাড়া শুধু সাদা পানি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বাস্থ্যসম্মত পানীয়। ইফতারের শুরুতেই সাদা পানি খান।

ডাবের পানি: রোজার সময় দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থেকে কাজ করার ফলে ঘাম হয়। ফলে ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স হয়। ডাবের পানি প্রাকৃতিকভাবে মিনারেলস সমৃদ্ধ পানীয়। ইফতারে এক গ্লাস ডাবের পানি খেলে শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স হবে।

লেবু পানি: পানি ও লেবুর সঙ্গে এক চিমটি পরিমাণ লবণ, বিট লবণ বা পিংক সল্ট মিশিয়ে পান করতে পারেন। চিনি দেওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে, চিনি শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই লেবু পানিও চমৎকারভাবে শরীরের ইলোকট্রোলাইট ব্যালান্স করতে সাহায্য করবে। সারাদিনে শরীরে যে ভিটামিন সির ঘাটতি তৈরি হয়, সেটিও পূরণ করবে এটি। ভিটামিন সির চাহিদা পূরণ হলে রোজার মাসে ঠান্ডা, জ্বর, কাশি হওয়ার ঝুঁকি একটু কমে যাবে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।

আখের গুড়ের শরবত: পানির সঙ্গে আখের গুড় আর একটু লবণ মিশিয়ে শরবত তৈরি করা হলে এটি স্যালাইনের কাজ করে এবং রক্তের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স করতে সাহায্য করে।

বেলের শরবত: যাদের শরীর বেশি ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় তারা বেলের শরবত খাবেন। এটি খুবই উপকারী পানীয়। বেল যদি মিষ্টি না হয় তখন প্রয়োজনে চিনির বিকল্প উপাদান মিছরি, যষ্টিমধু, খেজুরের পাউডার, গুড় ইত্যাদি দিয়ে শরবত তৈরি করা যেতে পারে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

রমজানে শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর পানীয়

আপডেট সময় ১২:২৫:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

সারাদিন রোজা রেখে তৃষ্ণা মেটাতে প্রয়োজন পানি ও পানীয়।  ইফতারে বিভিন্ন ধরনের শরবত ও পানীয় খেতে পছন্দ করে সবাই। কিন্তু সেগুলো স্বাস্থ্যসম্মত কি না এ ব্যাপারেও খেয়াল রাখা উচিত।

সুস্বাদু ও সহজে তৈরি করা যায় এমন কিছু স্মুদি রেসিপি দেখে নিন

জিন্‌জার বুস্টার পিনাকোলডা

যা যা লাগবে 

আনারস ২ কাপ, আদা (কুচি) ১ চা চামচ, কমলার রস ১ কাপ, চিনি পরিমাণমতো, বরফকুচি পরিমাণমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন 

সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর একটি গ্লাসে বরফকুচি দিয়ে ওপরে ব্লেন্ড করে রাখা জুস ঢেলে পরিবেশন করুন।

ডেট আলমন্ড শেক

যা যা লাগবে 

খেজুর (কুচি) ১ কাপ, কাঠবাদাম ৩ টেবিল চামচ, দুধ দেড় কাপ, চিনি পরিমাণমতো, বরফকুচি পরিমাণমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন 

সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। গ্লাসে বরফকুচি দিয়ে ওপরে ব্লেন্ড করে রাখা মিশ্রণ ঢেলে পরিবেশন করুন।

ক্যারোট আপেল হাইড্রেটর

যা যা লাগবে 
গাজর আধা কাপ, আপেল ১টি, দারুচিনি গুঁড়া আধা চা চামচ, পানি পরিমাণমতো, চিনি পরিমাণমতো।
যেভাবে তৈরি করবেন 
ব্লেন্ডারে সব উপকরণ দিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। গ্লাসে ঢেলে ওপরে সামান্য দারুচিনি গুঁড়া দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
এছারাও রোজা রেখে পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। যেহেতু লম্বা সময় ধরে পানি না খেয়ে থাকা হয়, সেহেতু পর্যাপ্ত পানি পান না করলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পানি ও পানীয় গ্রহণের পাশাপাশি পানি জাতীয় সবজিও খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। এতে সারাদিন শরীর হাইড্রেটেড থাকবে।

সাদা পানি: স্বাস্থ্যকর পানীয়র মধ্যে প্রথমেই থাকবে সাদা পানি। চিনি, লবণ ছাড়া শুধু সাদা পানি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বাস্থ্যসম্মত পানীয়। ইফতারের শুরুতেই সাদা পানি খান।

ডাবের পানি: রোজার সময় দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থেকে কাজ করার ফলে ঘাম হয়। ফলে ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স হয়। ডাবের পানি প্রাকৃতিকভাবে মিনারেলস সমৃদ্ধ পানীয়। ইফতারে এক গ্লাস ডাবের পানি খেলে শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স হবে।

লেবু পানি: পানি ও লেবুর সঙ্গে এক চিমটি পরিমাণ লবণ, বিট লবণ বা পিংক সল্ট মিশিয়ে পান করতে পারেন। চিনি দেওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে, চিনি শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই লেবু পানিও চমৎকারভাবে শরীরের ইলোকট্রোলাইট ব্যালান্স করতে সাহায্য করবে। সারাদিনে শরীরে যে ভিটামিন সির ঘাটতি তৈরি হয়, সেটিও পূরণ করবে এটি। ভিটামিন সির চাহিদা পূরণ হলে রোজার মাসে ঠান্ডা, জ্বর, কাশি হওয়ার ঝুঁকি একটু কমে যাবে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।

আখের গুড়ের শরবত: পানির সঙ্গে আখের গুড় আর একটু লবণ মিশিয়ে শরবত তৈরি করা হলে এটি স্যালাইনের কাজ করে এবং রক্তের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স করতে সাহায্য করে।

বেলের শরবত: যাদের শরীর বেশি ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় তারা বেলের শরবত খাবেন। এটি খুবই উপকারী পানীয়। বেল যদি মিষ্টি না হয় তখন প্রয়োজনে চিনির বিকল্প উপাদান মিছরি, যষ্টিমধু, খেজুরের পাউডার, গুড় ইত্যাদি দিয়ে শরবত তৈরি করা যেতে পারে।