ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

শান্তির খোঁজে দলাই লামার দ্বারস্থ হলেন কঙ্গনা

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১০:৪৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
  • ১১০৩ বার পড়া হয়েছে

হিমাচলে ভোট প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিজেপির তারকা প্রার্থী কঙ্গনা রানাউত। নিজেকে ‘মান্ডিকন্যা’ বলেই প্রচারে এলাকাবাসীদের সঙ্গে জনসংযোগ করছেন কঙ্গনা। আর এরই মধ্যে কঙ্গনা পেলেন সুবর্ণ সুযোগ। দেখা করলেন তিব্বতী বৌদ্ধদের আধ্যাত্মিক নেতা দলাই লামার সঙ্গে।

সোশাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্ট করে কঙ্গনা লিখলেন, ‘আমি খুবই ভাগ্যবতী। দলাই লামা লামার দর্শন পেলাম। আমার জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিন এটা। দলাই লামা জানালেন, তিনি হিমাচলকে ভালোবাসেন। ভারতকে ভালোবাসেন। সত্যিই আমি গর্বিত।’

কঙ্গনা রোজই এখন কোমর বেঁধে ভোটপ্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। মাইক হাতে মান্ডির নানা জায়গায় বক্তব্য রাখছেন তিনি। গত শুক্রবার এমনই এক সভা থেকে নারীশক্তি নিয়ে রীতিমতো হুঙ্কার ছাড়লেন কঙ্গনা।

কঙ্গনার কথায়, ‘এই লড়াই শুধু আমার নয়। এই লড়াই আমাদের সবার। এই লড়াই নারী সম্মানের লড়াই। এই লড়াই হিমাচলের সম্মানের। আর এই লড়াই আমরা জিতবই।’

কঙ্গনার এই জনসভায় একটি ভিডিও প্রদর্শিত হয়। যেখানে কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাথের ‘বেশ্যা’ মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে মহাভারতের দ্রৌপদীর একটি সংলাপ শোনা যায়। কঙ্গনাও যে দ্রৌপদীর মতোই নারীশক্তির প্রতীক, তা যেন এই ভিডিওতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

বহু বছর ধরেই কঙ্গনার কপালে হিট নেই। তবে তিনি খবরে রয়েছেন। বলিউড হোক কিংবা দেশের রাজনীতি, নানা বিতর্কে মুখ খুলে কঙ্গনার অপর নাম বিতর্ক ‘ক্যুইন’। ঠিক এই সময় থেকেই নিন্দুকরা লক্ষ্য করেছেন, নানাভাবে গেরুয়া শিবিরের নজর কাড়তে কঙ্গনা একেবারে তটস্থ। কঙ্গনার মোদি ভক্তিই বুঝিয়ে দিয়েছিল, সিনেমার কেরিয়ারকে জলাঞ্জলি দিয়ে কঙ্গনার পাখির চোখ রাজনীতি। বিশেষ করে পদ্ম হাতেই যে রাজনীতির মাঠে ‘মণিকর্ণিকা’ হতে চেয়েছিলেন কঙ্গনা তা ছিল স্পষ্ট। যেমন প্ল্যান, তেমনই কাজ। এবারের লোকসভায় হিমাচলের মান্ডি কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনার হল স্বপ্নপূরণ।

কঙ্গনা যেখানে, বিতর্ক সেখানে। একথা তো এখন ১০০ শতাংশ সত্য। রাজনীতিতে নামতেই বিতর্ক শুরু। নিন্দুকরা মনে করছেন, নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থ এবং সাধপূরণ করতেই কঙ্গনা রাজনীতিতে এসেছে। অনেকে তো মনে করছেন, বলিউডে নিজের আধিপত্য বাড়াতেই কঙ্গনার এমন ফন্দি। সত্যিকারের বলিউডের ‘ক্যুইন’ হওয়ার লোভেই নাকি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি।

ইন্ডিয়া টুডেকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার নেপথ্যের কারণ ফাঁস করলেন কঙ্গনা। স্পষ্ট জানালেন, বিজেপির সঙ্গে তার আত্মিক যোগ রয়েছে।

কঙ্গনার কথায়, মানুষের সেবা করাই আমার ধর্ম। ছোটবেলা থেকে তেমনটাই শিখেছি। আসলে ২০ বছর ধরে সিনেমা করেছি। একটা ঝকঝকে জীবনযাপন করেছি। অনেক হল, এবার সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার সময় এসেছে। এই সুযোগ ভগবান সবাইকে দেয় না। আমি সেটা পেয়েছি এবং আর এর সঠিক ব্যবহার করব। এখন এটাই আমার একমাত্র উদ্দেশ্য।

কঙ্গনা আরও জানান, বিজেপি এমন একটা রাজনৈতিক দল। যাদের মূল্যবোধ আমার মূল্যবোধের সঙ্গে মিলে যায়। তাই বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। আমি জানি বিজেপির হাত ধরেই সাধারণের হয়ে কাজ করতে পারব। আমি অভিনেতা নই, নেতাও নই। আমি সাধারণ এক কর্মী।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

শান্তির খোঁজে দলাই লামার দ্বারস্থ হলেন কঙ্গনা

আপডেট সময় ১০:৪৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

হিমাচলে ভোট প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিজেপির তারকা প্রার্থী কঙ্গনা রানাউত। নিজেকে ‘মান্ডিকন্যা’ বলেই প্রচারে এলাকাবাসীদের সঙ্গে জনসংযোগ করছেন কঙ্গনা। আর এরই মধ্যে কঙ্গনা পেলেন সুবর্ণ সুযোগ। দেখা করলেন তিব্বতী বৌদ্ধদের আধ্যাত্মিক নেতা দলাই লামার সঙ্গে।

সোশাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্ট করে কঙ্গনা লিখলেন, ‘আমি খুবই ভাগ্যবতী। দলাই লামা লামার দর্শন পেলাম। আমার জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিন এটা। দলাই লামা জানালেন, তিনি হিমাচলকে ভালোবাসেন। ভারতকে ভালোবাসেন। সত্যিই আমি গর্বিত।’

কঙ্গনা রোজই এখন কোমর বেঁধে ভোটপ্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। মাইক হাতে মান্ডির নানা জায়গায় বক্তব্য রাখছেন তিনি। গত শুক্রবার এমনই এক সভা থেকে নারীশক্তি নিয়ে রীতিমতো হুঙ্কার ছাড়লেন কঙ্গনা।

কঙ্গনার কথায়, ‘এই লড়াই শুধু আমার নয়। এই লড়াই আমাদের সবার। এই লড়াই নারী সম্মানের লড়াই। এই লড়াই হিমাচলের সম্মানের। আর এই লড়াই আমরা জিতবই।’

কঙ্গনার এই জনসভায় একটি ভিডিও প্রদর্শিত হয়। যেখানে কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাথের ‘বেশ্যা’ মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে মহাভারতের দ্রৌপদীর একটি সংলাপ শোনা যায়। কঙ্গনাও যে দ্রৌপদীর মতোই নারীশক্তির প্রতীক, তা যেন এই ভিডিওতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

বহু বছর ধরেই কঙ্গনার কপালে হিট নেই। তবে তিনি খবরে রয়েছেন। বলিউড হোক কিংবা দেশের রাজনীতি, নানা বিতর্কে মুখ খুলে কঙ্গনার অপর নাম বিতর্ক ‘ক্যুইন’। ঠিক এই সময় থেকেই নিন্দুকরা লক্ষ্য করেছেন, নানাভাবে গেরুয়া শিবিরের নজর কাড়তে কঙ্গনা একেবারে তটস্থ। কঙ্গনার মোদি ভক্তিই বুঝিয়ে দিয়েছিল, সিনেমার কেরিয়ারকে জলাঞ্জলি দিয়ে কঙ্গনার পাখির চোখ রাজনীতি। বিশেষ করে পদ্ম হাতেই যে রাজনীতির মাঠে ‘মণিকর্ণিকা’ হতে চেয়েছিলেন কঙ্গনা তা ছিল স্পষ্ট। যেমন প্ল্যান, তেমনই কাজ। এবারের লোকসভায় হিমাচলের মান্ডি কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনার হল স্বপ্নপূরণ।

কঙ্গনা যেখানে, বিতর্ক সেখানে। একথা তো এখন ১০০ শতাংশ সত্য। রাজনীতিতে নামতেই বিতর্ক শুরু। নিন্দুকরা মনে করছেন, নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থ এবং সাধপূরণ করতেই কঙ্গনা রাজনীতিতে এসেছে। অনেকে তো মনে করছেন, বলিউডে নিজের আধিপত্য বাড়াতেই কঙ্গনার এমন ফন্দি। সত্যিকারের বলিউডের ‘ক্যুইন’ হওয়ার লোভেই নাকি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি।

ইন্ডিয়া টুডেকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার নেপথ্যের কারণ ফাঁস করলেন কঙ্গনা। স্পষ্ট জানালেন, বিজেপির সঙ্গে তার আত্মিক যোগ রয়েছে।

কঙ্গনার কথায়, মানুষের সেবা করাই আমার ধর্ম। ছোটবেলা থেকে তেমনটাই শিখেছি। আসলে ২০ বছর ধরে সিনেমা করেছি। একটা ঝকঝকে জীবনযাপন করেছি। অনেক হল, এবার সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার সময় এসেছে। এই সুযোগ ভগবান সবাইকে দেয় না। আমি সেটা পেয়েছি এবং আর এর সঠিক ব্যবহার করব। এখন এটাই আমার একমাত্র উদ্দেশ্য।

কঙ্গনা আরও জানান, বিজেপি এমন একটা রাজনৈতিক দল। যাদের মূল্যবোধ আমার মূল্যবোধের সঙ্গে মিলে যায়। তাই বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। আমি জানি বিজেপির হাত ধরেই সাধারণের হয়ে কাজ করতে পারব। আমি অভিনেতা নই, নেতাও নই। আমি সাধারণ এক কর্মী।