ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমে ৮.৫৭ শতাংশ

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:১৬:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১২৭৪ বার পড়া হয়েছে

টানা ছয় মাস ধরে কমছে দেশে মূল্যস্ফীতি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেও মূল্যস্ফীতি কমেছে। নতুন বছরের প্রথম মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সর্বশেষ মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্যে এ চিত্র উঠে এসেছে। বিবিএসের হিসাবে মূল্যস্ফীতি কমলেও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি এখনো প্রায় দুই অঙ্কের কাছাকাছি রয়েছে। সর্বশেষ জানুয়ারি মাসে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৮৪। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

এর আগে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি ছিল গত আগস্টে। ওই মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে উঠেছিল। এরপর প্রতি মাসে মূল্যস্ফীতি একটু একটু করে কমেছে বলে বিবিএসের তথ্যে তুলে ধরা হয়েছে।

সরকারি হিসাবে মূল্যস্ফীতি কমলেও বাজারে জিনিসপত্রের দামে তার কোনো স্বস্তি নেই। প্রতি সপ্তাহেই নতুন করে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ চলতি সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম দ্বিশতক ছুঁয়েছে। আবার মূল্যস্ফীতির তথ্যের সঙ্গে বিবিএস ঢাকা শহরের চাল, ডালসহ কিছু পণ্যের দরদামের হিসাবও দিয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছ, সব ধরনের চালের দাম জানুয়ারিতে বেড়েছে। তা সত্ত্বেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে। এ কারণে বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হিসাব নিয়ে অর্থনীতিবিদরা শঙ্কা প্রকাশ করছেন।

সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ শহরের মানুষের তুলনায় গ্রামের মানুষের ওপর বেশি।

জানুয়ারিতে শহর এলাকায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে তা ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গ্রামে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি, ১০ দশমিক ১২ শতাংশ। আর গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ। শহর এলাকায় জানুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত খাতে তা ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমে ৮.৫৭ শতাংশ

আপডেট সময় ১১:১৬:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

টানা ছয় মাস ধরে কমছে দেশে মূল্যস্ফীতি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেও মূল্যস্ফীতি কমেছে। নতুন বছরের প্রথম মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সর্বশেষ মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্যে এ চিত্র উঠে এসেছে। বিবিএসের হিসাবে মূল্যস্ফীতি কমলেও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি এখনো প্রায় দুই অঙ্কের কাছাকাছি রয়েছে। সর্বশেষ জানুয়ারি মাসে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৮৪। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

এর আগে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি ছিল গত আগস্টে। ওই মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে উঠেছিল। এরপর প্রতি মাসে মূল্যস্ফীতি একটু একটু করে কমেছে বলে বিবিএসের তথ্যে তুলে ধরা হয়েছে।

সরকারি হিসাবে মূল্যস্ফীতি কমলেও বাজারে জিনিসপত্রের দামে তার কোনো স্বস্তি নেই। প্রতি সপ্তাহেই নতুন করে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ চলতি সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম দ্বিশতক ছুঁয়েছে। আবার মূল্যস্ফীতির তথ্যের সঙ্গে বিবিএস ঢাকা শহরের চাল, ডালসহ কিছু পণ্যের দরদামের হিসাবও দিয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছ, সব ধরনের চালের দাম জানুয়ারিতে বেড়েছে। তা সত্ত্বেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে। এ কারণে বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হিসাব নিয়ে অর্থনীতিবিদরা শঙ্কা প্রকাশ করছেন।

সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ শহরের মানুষের তুলনায় গ্রামের মানুষের ওপর বেশি।

জানুয়ারিতে শহর এলাকায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে তা ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গ্রামে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি, ১০ দশমিক ১২ শতাংশ। আর গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ। শহর এলাকায় জানুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত খাতে তা ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ।