ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সকালের নাস্তার স্বাস্থ্যকর যেসব খাবার

সকাল হচ্ছে দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। দিন শুরু করার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর নাস্তা দরকার। শরীর এবং মনকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার প্রয়োজন।

কারণ দিনের শুরুতে একটি পরিপূর্ণ খাদ্য তালিকা আপনাকে দিতে পারে সারাদিন সুস্থ ও সতেজ থাকার নিশ্চয়তা। প্রতিদিন সকালে স্বাস্থ্যকর এবং ভারী খাবার খেলে মস্তিষ্ক পুরোদিনের জন্য তৈরি হয়ে যায় এবং সারাদিন শক্তি পাওয়া যায়।

তবে শুধু পেটপুরে খেলেই হবে না, কী খাচ্ছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পুষ্টিবিদদের মতে, সকালে কি নাস্তা খাচ্ছেন তা খেয়াল রাখা জরুরি।

দিনের শুরুতেই স্বাস্থ্যকর নাস্তা ওজন কমানোর পাশপাশি শরীর সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আসুন জেনে নেই সকালের নাস্তার জন্য স্বাস্থ্যকর কিছু খাবারের নাম।

ডিম

ডিমকে বলা হয় সুপারফুড। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, ফোলেট, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খনিজ ও মিনারেল। এছাড়া প্রোটিনের ভাণ্ডারও বলা হয়ে থাকে ডিমকে। ডিমে থাকা প্রোটিন পেশীর বৃদ্ধি এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অপরিহার্য। এছাড়া কুসুমে থাকা লুটেইন এবং জেক্সানথিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখ, ত্বক ও কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন দুইটি ডিম খাওয়াই যথেষ্ট।

ওটস

সারাদিনের এনার্জি পেতে ওটস দারুন একটি খাবার। কারণ, ওটসে আছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার, ম্যাংগানিজ, কপার, ফসফরাস, আয়রন, জিঙ্ক, ফলেট, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন বি১ এবং ভিটামিন বি৬। এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ওজন কমাতে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তবে সকালে কোনো ফ্লেভারড বা চিনিযুক্ত ওটস খাবেন না। চিনির পরিবর্তে মধু, বাদাম এবং ফল মিশিয়ে খেতে পারেন।

চিয়া সিড

চিয়া সিড একটি সুপারফুড যা শরীরের অনেক উপকার করে থাকে। এতে আছে দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, আয়রন, পটাশিয়াম, ওমেগা-৩। এটি শক্তি এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে,  ব্লাড সুগার স্বাভাবিক রাখে, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করে। পাশাপাশি  হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা দূর করাসহ ত্বক, চুল ও নখ সুন্দর রাখে।

দই

দই দেহের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী একটি খাবার। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, যা হাড়ের গঠনে কাজ করে। দিনের শুরু দই দিয়ে করলে পুরো দিন আপনার দেহে থাকবে অফুরন্ত এনার্জি। ক্লান্তি স্পর্শ করবে না দিনের শেষেও। সুতরাং সকালের নাস্তায় খাবারের পাশাপাশি দই রাখা ভালো। তবে সকালের নাস্তায় শুধুমাত্র দই খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়।

কাঠবাদাম

ভিটামিন ও খনিজে ভরা কাঠবাদাম পানিতে ভেজালে পুষ্টিগুণ অনেক বেড়ে যায়। এটি হজমশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি ওজন কমাতে কার্যকরী। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার পর সকালে ৫-১০টি কাঠবাদাম খেলে পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি সারাদিন রুচিও বাড়ায়।

ফল

সকালের নাস্তার জন্য সব চাইতে ভালো খাবার হচ্ছে ফল। কলা, আপেল, পেয়ারা, কমলা অথবা মৌসুমি ফল দিয়ে সকালের নাস্তা করা সব চাইতে ভালো। বিভিন্ন রোগপ্রতিরোধে ও ওজন কমাতে আঁশজাতীয় খাবার প্রয়োজন। ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি থাকে। ভিটামিন সম্পূর্ণ পেতে তাজা ও কাঁচা ফল খোসাসহ খাওয়াই ভালো। চাইলে ফলমূল দিয়ে সালাদ তৈরি করেও খেতে পারেন।

গ্রিন টি

গ্রিন টি-তে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন। অন্যান্য খাবারের সাথে এটি সকালের নাস্তায় পান করা হলে শরীর সারাদিনের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়। গ্রিন টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্রণে সাহায্য করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ও মস্তিস্ককে উদ্দীপ্ত করে। তবে খাবার খাওয়ার ১ ঘন্টা আগে অথবা খাবার খাওয়ার ১ ঘন্টা পর গ্রিন টি পান করা উচিত।

সূত্র: হেলথলাইন

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

সকালের নাস্তার স্বাস্থ্যকর যেসব খাবার

আপডেট সময় ০৫:৩৯:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

সকাল হচ্ছে দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। দিন শুরু করার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর নাস্তা দরকার। শরীর এবং মনকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার প্রয়োজন।

কারণ দিনের শুরুতে একটি পরিপূর্ণ খাদ্য তালিকা আপনাকে দিতে পারে সারাদিন সুস্থ ও সতেজ থাকার নিশ্চয়তা। প্রতিদিন সকালে স্বাস্থ্যকর এবং ভারী খাবার খেলে মস্তিষ্ক পুরোদিনের জন্য তৈরি হয়ে যায় এবং সারাদিন শক্তি পাওয়া যায়।

তবে শুধু পেটপুরে খেলেই হবে না, কী খাচ্ছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পুষ্টিবিদদের মতে, সকালে কি নাস্তা খাচ্ছেন তা খেয়াল রাখা জরুরি।

দিনের শুরুতেই স্বাস্থ্যকর নাস্তা ওজন কমানোর পাশপাশি শরীর সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আসুন জেনে নেই সকালের নাস্তার জন্য স্বাস্থ্যকর কিছু খাবারের নাম।

ডিম

ডিমকে বলা হয় সুপারফুড। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, ফোলেট, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খনিজ ও মিনারেল। এছাড়া প্রোটিনের ভাণ্ডারও বলা হয়ে থাকে ডিমকে। ডিমে থাকা প্রোটিন পেশীর বৃদ্ধি এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অপরিহার্য। এছাড়া কুসুমে থাকা লুটেইন এবং জেক্সানথিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখ, ত্বক ও কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন দুইটি ডিম খাওয়াই যথেষ্ট।

ওটস

সারাদিনের এনার্জি পেতে ওটস দারুন একটি খাবার। কারণ, ওটসে আছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার, ম্যাংগানিজ, কপার, ফসফরাস, আয়রন, জিঙ্ক, ফলেট, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন বি১ এবং ভিটামিন বি৬। এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ওজন কমাতে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তবে সকালে কোনো ফ্লেভারড বা চিনিযুক্ত ওটস খাবেন না। চিনির পরিবর্তে মধু, বাদাম এবং ফল মিশিয়ে খেতে পারেন।

চিয়া সিড

চিয়া সিড একটি সুপারফুড যা শরীরের অনেক উপকার করে থাকে। এতে আছে দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, আয়রন, পটাশিয়াম, ওমেগা-৩। এটি শক্তি এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে,  ব্লাড সুগার স্বাভাবিক রাখে, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করে। পাশাপাশি  হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা দূর করাসহ ত্বক, চুল ও নখ সুন্দর রাখে।

দই

দই দেহের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী একটি খাবার। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, যা হাড়ের গঠনে কাজ করে। দিনের শুরু দই দিয়ে করলে পুরো দিন আপনার দেহে থাকবে অফুরন্ত এনার্জি। ক্লান্তি স্পর্শ করবে না দিনের শেষেও। সুতরাং সকালের নাস্তায় খাবারের পাশাপাশি দই রাখা ভালো। তবে সকালের নাস্তায় শুধুমাত্র দই খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়।

কাঠবাদাম

ভিটামিন ও খনিজে ভরা কাঠবাদাম পানিতে ভেজালে পুষ্টিগুণ অনেক বেড়ে যায়। এটি হজমশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি ওজন কমাতে কার্যকরী। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার পর সকালে ৫-১০টি কাঠবাদাম খেলে পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি সারাদিন রুচিও বাড়ায়।

ফল

সকালের নাস্তার জন্য সব চাইতে ভালো খাবার হচ্ছে ফল। কলা, আপেল, পেয়ারা, কমলা অথবা মৌসুমি ফল দিয়ে সকালের নাস্তা করা সব চাইতে ভালো। বিভিন্ন রোগপ্রতিরোধে ও ওজন কমাতে আঁশজাতীয় খাবার প্রয়োজন। ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি থাকে। ভিটামিন সম্পূর্ণ পেতে তাজা ও কাঁচা ফল খোসাসহ খাওয়াই ভালো। চাইলে ফলমূল দিয়ে সালাদ তৈরি করেও খেতে পারেন।

গ্রিন টি

গ্রিন টি-তে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন। অন্যান্য খাবারের সাথে এটি সকালের নাস্তায় পান করা হলে শরীর সারাদিনের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়। গ্রিন টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্রণে সাহায্য করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ও মস্তিস্ককে উদ্দীপ্ত করে। তবে খাবার খাওয়ার ১ ঘন্টা আগে অথবা খাবার খাওয়ার ১ ঘন্টা পর গ্রিন টি পান করা উচিত।

সূত্র: হেলথলাইন