জামা-কাপড়ে করে সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ আনার মামলায় যাত্রী মোহাম্মাদ শহীদ মিয়াকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ হুমায়ুন কবির শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাজধানীর বিমানবন্দর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এর আগে, গত ১৭ মে সকাল ৮টা ৪১ মিনিটে শারজাহ থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরের আসেন যাত্রী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার কাছে ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার থাকার কথা স্বীকার করেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার কাছে ৩০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। তার কাছে আর কোনো স্বর্ণ থাকার কথা অস্বীকার করায় তাকে তল্লাশি করেন গোয়েন্দারা। তার পরনে অত্যধিক পরিমাণ জামা-কাপড়ের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তার জামা-কাপড়ের ওজন অস্বাভাবিক দেখায় সেগুলো খুলে স্ক্যানিং মেশিনে স্ক্যান করা হয়। এ সময় জামা-কাপড়ের মধ্যে বিশেষভাবে লুকায়িত স্বর্ণের ইমেজের অস্তিত্ব পাওয়া গেলে তাকে কাস্টমস হলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে স্বর্ণের পরিমাণ নির্ণয়ের লক্ষ্যে শহীদ মিয়ার শরীরে পরিহিত ১৬টি কাপড় (যার মধ্যে শর্ট প্যান্ট-নয়টি, স্যান্ডো গেঞ্জি-৬টি ও ফুল প্যান্ট-১টি) স্থানীয় স্বর্ণকার কর্তৃক যাত্রী ও বিমানবন্দরে দায়িত্বরত বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে বিমানবন্দরের ক্যানোপি-১ এ নিয়ে পোড়ানো হয়। পোড়ানোর পরে অপরিশোধিত চার হাজার ৪৬২ গ্রাম পরিমাণ স্বর্ণ নির্ণয় করেন। প্রাপ্ত মোট স্বর্ণের পরিমাণ চার হাজার ৪৯২ গ্রাম (চার হাজার ৪৬২ গ্রাম অপরিশোধিত স্বর্ণ ও ৩০ গ্রাম অলংকার)। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।