ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

শান্তিরক্ষা মিশনে গাম্বিয়ার সাথে যৌথভাবে সেনা মোতায়েনে সম্মত বাংলাদেশ

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৫:৫৪:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১২৯৩ বার পড়া হয়েছে

জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দুই দেশের সৈন্য মোতায়েনের বিষয়ে গাম্বিয়ার প্রস্তাবে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ।

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদু তাঙ্গারা প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সাথে বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দুই দেশের সৈন্য মোতায়েনে গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবের একটি অনুরোধপত্র হস্তান্তর করলে প্রধানমন্ত্রী নীতিগতভাবে এতে সম্মতি দেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। নজরুল বলেন, গাম্বিয়া জাতিসঙ্ঘের উপযুক্ত শান্তিরক্ষী মিশনে যৌথভাবে বাংলাদেশ ও গাম্বিয়ার সৈন্য মোতায়েনের প্রস্তাব দেয়।

এম. নজরুল শেখ হাসিনার উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী জাতিসঙ্ঘের অনুমোদন সাপেক্ষে শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য মোতায়েনের প্রস্তাব বাস্তবায়নে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সৈন্য প্রেরণকারী দেশ বলেও বৈঠকে উল্লেখ করেন।

সফররত গাম্বিয়ান মন্ত্রী বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে এবং কৃষি খাতে ব্যাপক উন্নয়নে বাংলাদেশের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী পারস্পরিক স্বার্থে গাম্বিয়ার বিস্তীর্ণ জমিতে যৌথভাবে চাষাবাদের জন্য বাংলাদেশী জনশক্তি ও প্রযুক্তি গাম্বিয়ায় হস্তান্তরের প্রস্তাব করেন।

তিনি আরো বলেন, তার সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ এবং গবেষণার ফলে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে পরিণত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষিজমি হ্রাসের প্রবণতা সত্ত্বেও গবেষণা বাংলাদেশকে খাদ্য উৎপাদনে আত্মনির্ভরশীল দেশে পরিণত করতে সহায়তা করেছে।

শেখ হাসিনা তার সরকারের নীতি উল্লেখ করে বলেন, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখা যাবে না এবং জনগণ এর প্রতি সাড়া দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য গাম্বিয়ান সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পর তাদের মর্যাদাপূর্ণ জীবন দেয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করছে।

গাম্বিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সেরিং মোদুউ এনজিইস, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সিচিব মাসুদ বিন মোমেন, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

শান্তিরক্ষা মিশনে গাম্বিয়ার সাথে যৌথভাবে সেনা মোতায়েনে সম্মত বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০৫:৫৪:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দুই দেশের সৈন্য মোতায়েনের বিষয়ে গাম্বিয়ার প্রস্তাবে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ।

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদু তাঙ্গারা প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সাথে বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দুই দেশের সৈন্য মোতায়েনে গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবের একটি অনুরোধপত্র হস্তান্তর করলে প্রধানমন্ত্রী নীতিগতভাবে এতে সম্মতি দেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। নজরুল বলেন, গাম্বিয়া জাতিসঙ্ঘের উপযুক্ত শান্তিরক্ষী মিশনে যৌথভাবে বাংলাদেশ ও গাম্বিয়ার সৈন্য মোতায়েনের প্রস্তাব দেয়।

এম. নজরুল শেখ হাসিনার উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী জাতিসঙ্ঘের অনুমোদন সাপেক্ষে শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য মোতায়েনের প্রস্তাব বাস্তবায়নে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সৈন্য প্রেরণকারী দেশ বলেও বৈঠকে উল্লেখ করেন।

সফররত গাম্বিয়ান মন্ত্রী বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে এবং কৃষি খাতে ব্যাপক উন্নয়নে বাংলাদেশের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী পারস্পরিক স্বার্থে গাম্বিয়ার বিস্তীর্ণ জমিতে যৌথভাবে চাষাবাদের জন্য বাংলাদেশী জনশক্তি ও প্রযুক্তি গাম্বিয়ায় হস্তান্তরের প্রস্তাব করেন।

তিনি আরো বলেন, তার সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ এবং গবেষণার ফলে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে পরিণত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষিজমি হ্রাসের প্রবণতা সত্ত্বেও গবেষণা বাংলাদেশকে খাদ্য উৎপাদনে আত্মনির্ভরশীল দেশে পরিণত করতে সহায়তা করেছে।

শেখ হাসিনা তার সরকারের নীতি উল্লেখ করে বলেন, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখা যাবে না এবং জনগণ এর প্রতি সাড়া দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য গাম্বিয়ান সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পর তাদের মর্যাদাপূর্ণ জীবন দেয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করছে।

গাম্বিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সেরিং মোদুউ এনজিইস, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সিচিব মাসুদ বিন মোমেন, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস