ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

টানা বৃষ্টিতে সিলেটের ৪ উপজেলায় বন্যা

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১০:৫৩:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪
  • ১১০৭ বার পড়া হয়েছে

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সিলেটের গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে ওই চার উপজেলার বেশিরভাগ নিম্নাঞ্চল। অনেক সড়ক ডুবে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ইতোমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। পানিবন্দি মানুষরা বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে উঠতে শুরু করেছেন।

জানা গেছে, গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়ন, লেঙ্গুড়া, ডৌবাড়ি, নন্দীরগাঁও, পূর্ব ও পশ্চিম আলীরগাও, পশ্চিম জাফলং, মধ্য জাফলংয়ে প্লাবনের পরিমাণ বেশি হয়েছে। এই উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে মোট ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রয়েছে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও প্লাবন প্রবণ এলাকার জনগণকে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিতে মাইকিং করা হচ্ছে।

এছাড়া সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক তলিয়ে যাওয়ার কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

জৈন্তাপুর উপজেলায় নিজপাট লামাপড়া, বন্দরহাটি, ময়নাহাটি, জাঙ্গালহাটি, বড়খেলা, মেঘলী, তিলকৈপাড়া, ফুলবাড়ী, নয়াবাড়ী, হর্নি, বাইরাখেল, গোয়াবাড়ী, ডিবির হাওর, ঘিলাতৈল, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, খারুবিল, লমানীগ্রাম, কাটাখাল, বাউরভাগ ও বাওন হাওরসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র।

এছাড়াও প্লাবিত হয়েছে কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। গ্রামীণ সড়ক ডুবে যোগাযোগ ব্যাহত রয়েছে অনেক জায়গায়।

এ ব্যাপারে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোবারক হোসেন বলেন, ইতোমধ্যেই গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গোয়াইনঘাটের কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ উঠতে শুরু করেছে।

তিনি আরো বলেন, আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে। সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক তদারকি করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এদিকে ধারাবাহিক বৃষ্টিপাতের ফলে সিলেটে সুরমা, কুশিয়ারা ও সারি-গোয়াইন নদীর তিনটি পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্যমতে, বুধবার দুপুর ১২টায় সুরমা নদী কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদী জকিগঞ্জের অমলশীদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার এবং সারি গোয়াইন নদী জৈন্তাপুরের সারিঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিস বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা) পর্যন্ত সিলেটে ১৪৬ দশমিক ০১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন বলেন, আগামী তিন দিন সিলেটে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

সূত্র : ইউএনবি

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

টানা বৃষ্টিতে সিলেটের ৪ উপজেলায় বন্যা

আপডেট সময় ১০:৫৩:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সিলেটের গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে ওই চার উপজেলার বেশিরভাগ নিম্নাঞ্চল। অনেক সড়ক ডুবে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ইতোমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। পানিবন্দি মানুষরা বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে উঠতে শুরু করেছেন।

জানা গেছে, গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়ন, লেঙ্গুড়া, ডৌবাড়ি, নন্দীরগাঁও, পূর্ব ও পশ্চিম আলীরগাও, পশ্চিম জাফলং, মধ্য জাফলংয়ে প্লাবনের পরিমাণ বেশি হয়েছে। এই উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে মোট ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রয়েছে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও প্লাবন প্রবণ এলাকার জনগণকে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিতে মাইকিং করা হচ্ছে।

এছাড়া সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক তলিয়ে যাওয়ার কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

জৈন্তাপুর উপজেলায় নিজপাট লামাপড়া, বন্দরহাটি, ময়নাহাটি, জাঙ্গালহাটি, বড়খেলা, মেঘলী, তিলকৈপাড়া, ফুলবাড়ী, নয়াবাড়ী, হর্নি, বাইরাখেল, গোয়াবাড়ী, ডিবির হাওর, ঘিলাতৈল, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, খারুবিল, লমানীগ্রাম, কাটাখাল, বাউরভাগ ও বাওন হাওরসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র।

এছাড়াও প্লাবিত হয়েছে কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। গ্রামীণ সড়ক ডুবে যোগাযোগ ব্যাহত রয়েছে অনেক জায়গায়।

এ ব্যাপারে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোবারক হোসেন বলেন, ইতোমধ্যেই গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গোয়াইনঘাটের কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ উঠতে শুরু করেছে।

তিনি আরো বলেন, আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে। সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক তদারকি করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এদিকে ধারাবাহিক বৃষ্টিপাতের ফলে সিলেটে সুরমা, কুশিয়ারা ও সারি-গোয়াইন নদীর তিনটি পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্যমতে, বুধবার দুপুর ১২টায় সুরমা নদী কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদী জকিগঞ্জের অমলশীদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার এবং সারি গোয়াইন নদী জৈন্তাপুরের সারিঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিস বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা) পর্যন্ত সিলেটে ১৪৬ দশমিক ০১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন বলেন, আগামী তিন দিন সিলেটে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

সূত্র : ইউএনবি