ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘রাত ৮টার মধ্যে নির্ধারিত ৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ডিএনসিসির ১০ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করছে।সকল কাউন্সিলর ও ডিএনসিসির সকল কর্মকর্তা মাঠে রয়েছে। আমি নিজে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পরিদর্শন করবো।’
আজ সোমবার দুপুর ২টায় ডিএনসিসির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত মিরপুর সেকশন-২ ব্লক-এইচ রোড নম্বর ৬ এ বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করে তিনি এ কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ১টি ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৪টি নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির উদ্যোগ নিয়েছি। সবাই একসাথে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় কোরবানি দিলে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমটা অনেক সহজ হয়। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৪টি নির্দিষ্ট স্থানে ১২শ’ পশু কোরবানি দেওয়া হয়েছে। একসাথে এতোগুলো পশু কোরবানি দেয়ায় পরিচ্ছন্নতার কাজটা দ্রুত করা সম্ভব হচ্ছে। যে ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট স্থানে বেশি সংখ্যক পশু কোরবানি দিবে সেই ওয়ার্ডে বরাদ্দ বাড়িয়ে দিব।’
নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আপনারা আমাদের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সহযোগিতা করুন। হট লাইন নম্বর ১৬১০৬ এ ফোন করে বর্জ্যের বিষয়ে তথ্য জানাবেন। কন্ট্রোল রুম থেকে ব্যবস্থা নিবে।’
ডিএনসিসি মেয়র আজ ঈদের দিনই সবাইকে কোরবানির আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আজকের মধ্যে কোরবানি দেওয়ার আহবান করছি। সম্ভব না হলে, অবশ্যই আগামীকাল সকালের মধ্যে কোরবানি সম্পন্ন করুন। তাহলে দ্রুত শহরকে পরিচ্ছন্ন করতে পারবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন অনেক গরম, আবার বৃষ্টিও হচ্ছে। এই সময়ে এডিসের লার্ভা জন্মায়। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। অনেকে আজকে কালকেও বাড়িতে যাবেন। বাড়ি যাওয়ার আগে বাসা বাড়ির ছাদ, বারান্দা ও বাথরুম পরিষ্কার করে যাবেন। পানি জমে এডিসের লার্ভা জন্মাতে পারে- এমন পাত্র উল্টিয়ে রাখবেন।’
উদ্বোধন শেষে ডিএনসিসি মেয়র বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন শুরু করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. তফাজ্জল হোসেন (টেনু) ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।