ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ঢলের পানিতে ভাসছে সুনামগঞ্জ

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১২:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪
  • ১১০০ বার পড়া হয়েছে

সোমবার রাতে ভারী বর্ষণ না হলেও পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।সুরমা নদীর পানি উপচে বাসা-বাড়িতে ও দোকানে প্রবেশ করায় দুর্ভোগে পড়েছেন শহরের বাসিন্দারা।

আজ মঙ্গলবার সকালে সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৭ সে.মি উপর দিয়ে ও ছাতক পয়েন্ট ১৪৫ সেন্টিমিটার, যাদুকাটা নদীর পানি ৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

ঢলের পানিতে জেলার সদর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, মধ্যনগর, তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার অনেক বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ।

ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক, সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়কের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখলা ও দুর্গাপুর গ্রামের কাছের সড়ক তলিয়ে গেছে। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।

জানা যায়, বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় সুনামগঞ্জ শহরের নবীনগর, বনানীপাড়া, মোহাম্মদপুর, ষোলঘর, উকিলপাড়া, মধ্যবাজার, পশ্চিম বাজার, পুরাতন জেল রোড, আরপিননগর, তেঘরিয়া, বড়পাড়া, মল্লিকপুর, ওয়েজখালী, নতুনপাড়া, বাঁধনপাড়া, হাছননগর, ডিএস রোড, শান্তিবাগসহ বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে পানি উঠেছে।

মধ্যবাজারের ব্যবসায়ী দিবাকর দাস বলেন, ‘এভাবে পানি বাড়বে বুঝতে পারিনি। আমার দোকানের সব মালামাল পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। ‘

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, গত রাত থেকে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। সুরমা নদীর পানি আরও কিছু বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে বন্যা পরিস্থিতি ২২ সালের মত ভয়াবহ হবে না। ‘

সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সজিব আহমদ বলেন, আগামী কয়েক দিন সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের কোনো কোনো এলাকায় মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।’

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। ৫১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শহরের কয়েকটি স্কুলে কিছু পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। বন্যা কবলিতদের জন্য নগদ টাকা, চাল, শুকনো খাবার মজুদ আছে। উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য নৌকাসহ মাঝিদের প্রস্তুত রাখা আছে। বন্যা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। ‘

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

ঢলের পানিতে ভাসছে সুনামগঞ্জ

আপডেট সময় ১২:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪

সোমবার রাতে ভারী বর্ষণ না হলেও পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।সুরমা নদীর পানি উপচে বাসা-বাড়িতে ও দোকানে প্রবেশ করায় দুর্ভোগে পড়েছেন শহরের বাসিন্দারা।

আজ মঙ্গলবার সকালে সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৭ সে.মি উপর দিয়ে ও ছাতক পয়েন্ট ১৪৫ সেন্টিমিটার, যাদুকাটা নদীর পানি ৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

ঢলের পানিতে জেলার সদর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, মধ্যনগর, তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার অনেক বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ।

ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক, সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়কের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখলা ও দুর্গাপুর গ্রামের কাছের সড়ক তলিয়ে গেছে। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।

জানা যায়, বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় সুনামগঞ্জ শহরের নবীনগর, বনানীপাড়া, মোহাম্মদপুর, ষোলঘর, উকিলপাড়া, মধ্যবাজার, পশ্চিম বাজার, পুরাতন জেল রোড, আরপিননগর, তেঘরিয়া, বড়পাড়া, মল্লিকপুর, ওয়েজখালী, নতুনপাড়া, বাঁধনপাড়া, হাছননগর, ডিএস রোড, শান্তিবাগসহ বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে পানি উঠেছে।

মধ্যবাজারের ব্যবসায়ী দিবাকর দাস বলেন, ‘এভাবে পানি বাড়বে বুঝতে পারিনি। আমার দোকানের সব মালামাল পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। ‘

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, গত রাত থেকে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। সুরমা নদীর পানি আরও কিছু বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে বন্যা পরিস্থিতি ২২ সালের মত ভয়াবহ হবে না। ‘

সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সজিব আহমদ বলেন, আগামী কয়েক দিন সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের কোনো কোনো এলাকায় মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।’

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। ৫১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শহরের কয়েকটি স্কুলে কিছু পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। বন্যা কবলিতদের জন্য নগদ টাকা, চাল, শুকনো খাবার মজুদ আছে। উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য নৌকাসহ মাঝিদের প্রস্তুত রাখা আছে। বন্যা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। ‘