ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ঢাকা ঘেরাও, লংমার্চের চিন্তা বিএনপির

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১০:২৪:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১১২৪ বার পড়া হয়েছে

সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে চলমান যুগপৎ আন্দোলন তুঙ্গে নিতে লংমার্চ ও ঢাকা ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি দেয়ার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। রমজানের আগেই কিংবা রমজান চলাকালীন এই কর্মসূচি দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের কারো কারো মতে, আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে সরকার অভ্যন্তরীণ ও বৈশি^ক নানা সঙ্কটের কারণে আরো চাপে পড়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচন আচমকা এগিয়েও নিয়ে আসা হতে পারে। বিএনপির নেতারা তাই এই সময়টাতে রাজপথে বিপুল জনসমাগম ঘটিয়ে কর্মসূচিমুখর থাকা ‘আন্দোলনের জন্য ফলদায়ক’ হবে বলে হাইকমান্ডকে পরামর্শ দিয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকামুখী লংমার্চ কিংবা ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণার বিষয়ে ইতোমধ্যে বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামে আলোচনা হয়েছে। মার্চের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় সপ্তাহে একটি বড় কর্মসূচি ঘোষণার বিষয়টি জোর দিয়ে ভাবা হচ্ছে। দলটির দায়িত্বশীল এক নেতা গতকাল জানিয়েছেন, বিএনপি রাজপথে সরব থাকার পাশাপাশি নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। নির্বাচন নিয়ে সরকারের মনোভাব ও তৎপরতা যেমনি তাদের নজরে রয়েছে, তেমনি নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রভাবশালী দেশগুলোর তরফ থেকে যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চাপ রযেছে, সেটা কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখছে সেদিকেও তাদের খেয়াল রয়েছে। ওই নেতা বলেন, এসব পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেই ‘বৃহৎ কিন্তু শান্তিপূর্ণ’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে।

বিএনপির ওই নেতা দাবি করেন, এবার একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো সুযোগ সরকারের হাতে থাকবে না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান নয়া দিগন্তকে বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা আদায়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যখন যে ধরনের কর্মসুচি দেয়ার প্রয়োজন হবে, সেই ধরনের কর্মসূচিই দেয়া হবে। তিনি বলেন, বিএনপি সম্প্রতি সব ধরনের প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে যেভাবে সারা দেশে বিভাগীয় সমাবেশ সফল করেছে, আগামী দিনেও একইভাবে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণ সব কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত হয়ে তাদের দাবি আদায় করে নেবে। সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল ও জোটকে সাথে নিয়ে গত ডিসেম্বর থেকে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে বিএনপি। জানা গেছে, বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামের সাম্প্রতিক কয়েকটি বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে ঘোষিত কর্মসূচি কতটা সফলতার সাথে পালিত হয়েছে, তা মূল্যায়ন করা হয়েছে। একইসাথে গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশ ঘিরে যে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সে বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হয়েছে।

জানা গেছে, বিএনপি বিপুল জনসমাগম ঘটিয়ে আগামী দিনে প্রতিটি কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে চায়। এ ক্ষেত্রে কর্মসূচি ঘোষণা ও তা পালনের ক্ষেত্রে দলটি সতর্কতা অবলম্বনের পথ বেছে নিয়েছে। রাজপথে দলীয়ভাবে কোনো সংঘর্ষে না জড়াতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যদি সরকার কিংবা সরকারি দল বিরোধীদের কর্মসূচি বলপ্রয়োগ করে দমন করতে চায়, সেগুলোকেই তারা সামনে নিয়ে আসবে কিংবা কৌশলে মোকাবেলা করবে।

বিএনপির নেতারা মনে করছেন, সরকারের মেয়াদ যত কমে আসবে, ততই আন্দোলনের গতি বাড়বে। তবুও নির্বাচনী সঙ্কটের সুরাহা না করে সরকার একতরফাভাবে নির্বাচনের পথে হাঁটলে যেকোনো দিকে পরিস্থিতি মোড় নিতে পারে। বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ নিতপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ানোর কারণে জনগণ বেশ ক্ষুব্ধ। সামনে এই সঙ্কট আরো বাড়বে। মার্চ-এপ্রিলের দিকে দেশে অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে। সে সময় তারাও জনগণের দাবি নিয়ে জোরালোাভাবে মাঠে থাকবেন।

এ দিকে বিএনপি এবং যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরাও ১০ দফা দাবিগুলোকে সংক্ষিপ্ত করে মূল ইস্যুতে জোর দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ নিয়ে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সাথে অন্যান্য দল ও জোটের বৈঠক হয়েছে। খুব শিগগিরই দাবির পরিধি ছোট করে যৌথ ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা আজ
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শনিবার সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে ‘পদযাত্রা’ করবে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক জোটগুলো।

বিএনপি সারা দেশে ইউনিয়নে ইউনিয়নে এই পদযাত্রা করবে। গণতন্ত্র মঞ্চ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম-পিপলস পার্টি, বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য রাজধানীর বিভিন্ন রুটে পদযাত্রা করবে। গণতন্ত্র মঞ্চ ঢাকা ছাড়াও জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে পদযাত্রা করবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দফতর থেকে ইউনিয়নের পদযাত্রায় স্থানীয় বিএনপি, অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

গণতন্ত্র মঞ্চের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তারা আজ বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমবেত হয়ে মতিঝিল শাপলা চত্বর পর্যন্ত পদযাত্রা করবে। লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) সাড়ে ৩টায় রাজধানীর ভাটারার বাঁশতলা ক্যামব্রিয়ান কলেজের সামনে থেকে শুরু হয়ে বাড্ডা লিংক রোড মোড়ে গিয়ে পদযাত্রা করবে।

১০ দফা দাবিতে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো গত ডিসেম্বর থেকে যে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে এটি (ইউনিয়ন পর্যায়ের পদযাত্রা) পঞ্চম কর্মসূচি। এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর ৯ বিভাগীয় শহরে এবং ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল, ১১ জানুয়ারি সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি এবং ২৫ জানুয়ারি সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং ৪ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। গত ৪ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, ইউনিয়ন পর্যায় থেকে আমরা পদযাত্রা শুরু করছি। এরপর ধীরে ধীরে আমরা উপজেলা-জেলা-মহানগর এবং এরপর লংমার্চের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার মসনদ জনগণ দখল করে নেবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

ঢাকা ঘেরাও, লংমার্চের চিন্তা বিএনপির

আপডেট সময় ১০:২৪:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে চলমান যুগপৎ আন্দোলন তুঙ্গে নিতে লংমার্চ ও ঢাকা ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি দেয়ার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। রমজানের আগেই কিংবা রমজান চলাকালীন এই কর্মসূচি দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের কারো কারো মতে, আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে সরকার অভ্যন্তরীণ ও বৈশি^ক নানা সঙ্কটের কারণে আরো চাপে পড়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচন আচমকা এগিয়েও নিয়ে আসা হতে পারে। বিএনপির নেতারা তাই এই সময়টাতে রাজপথে বিপুল জনসমাগম ঘটিয়ে কর্মসূচিমুখর থাকা ‘আন্দোলনের জন্য ফলদায়ক’ হবে বলে হাইকমান্ডকে পরামর্শ দিয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকামুখী লংমার্চ কিংবা ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণার বিষয়ে ইতোমধ্যে বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামে আলোচনা হয়েছে। মার্চের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় সপ্তাহে একটি বড় কর্মসূচি ঘোষণার বিষয়টি জোর দিয়ে ভাবা হচ্ছে। দলটির দায়িত্বশীল এক নেতা গতকাল জানিয়েছেন, বিএনপি রাজপথে সরব থাকার পাশাপাশি নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। নির্বাচন নিয়ে সরকারের মনোভাব ও তৎপরতা যেমনি তাদের নজরে রয়েছে, তেমনি নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রভাবশালী দেশগুলোর তরফ থেকে যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চাপ রযেছে, সেটা কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখছে সেদিকেও তাদের খেয়াল রয়েছে। ওই নেতা বলেন, এসব পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেই ‘বৃহৎ কিন্তু শান্তিপূর্ণ’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে।

বিএনপির ওই নেতা দাবি করেন, এবার একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো সুযোগ সরকারের হাতে থাকবে না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান নয়া দিগন্তকে বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা আদায়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যখন যে ধরনের কর্মসুচি দেয়ার প্রয়োজন হবে, সেই ধরনের কর্মসূচিই দেয়া হবে। তিনি বলেন, বিএনপি সম্প্রতি সব ধরনের প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে যেভাবে সারা দেশে বিভাগীয় সমাবেশ সফল করেছে, আগামী দিনেও একইভাবে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণ সব কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত হয়ে তাদের দাবি আদায় করে নেবে। সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল ও জোটকে সাথে নিয়ে গত ডিসেম্বর থেকে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে বিএনপি। জানা গেছে, বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামের সাম্প্রতিক কয়েকটি বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে ঘোষিত কর্মসূচি কতটা সফলতার সাথে পালিত হয়েছে, তা মূল্যায়ন করা হয়েছে। একইসাথে গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশ ঘিরে যে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সে বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হয়েছে।

জানা গেছে, বিএনপি বিপুল জনসমাগম ঘটিয়ে আগামী দিনে প্রতিটি কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে চায়। এ ক্ষেত্রে কর্মসূচি ঘোষণা ও তা পালনের ক্ষেত্রে দলটি সতর্কতা অবলম্বনের পথ বেছে নিয়েছে। রাজপথে দলীয়ভাবে কোনো সংঘর্ষে না জড়াতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যদি সরকার কিংবা সরকারি দল বিরোধীদের কর্মসূচি বলপ্রয়োগ করে দমন করতে চায়, সেগুলোকেই তারা সামনে নিয়ে আসবে কিংবা কৌশলে মোকাবেলা করবে।

বিএনপির নেতারা মনে করছেন, সরকারের মেয়াদ যত কমে আসবে, ততই আন্দোলনের গতি বাড়বে। তবুও নির্বাচনী সঙ্কটের সুরাহা না করে সরকার একতরফাভাবে নির্বাচনের পথে হাঁটলে যেকোনো দিকে পরিস্থিতি মোড় নিতে পারে। বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ নিতপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ানোর কারণে জনগণ বেশ ক্ষুব্ধ। সামনে এই সঙ্কট আরো বাড়বে। মার্চ-এপ্রিলের দিকে দেশে অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে। সে সময় তারাও জনগণের দাবি নিয়ে জোরালোাভাবে মাঠে থাকবেন।

এ দিকে বিএনপি এবং যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরাও ১০ দফা দাবিগুলোকে সংক্ষিপ্ত করে মূল ইস্যুতে জোর দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ নিয়ে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সাথে অন্যান্য দল ও জোটের বৈঠক হয়েছে। খুব শিগগিরই দাবির পরিধি ছোট করে যৌথ ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা আজ
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শনিবার সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে ‘পদযাত্রা’ করবে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক জোটগুলো।

বিএনপি সারা দেশে ইউনিয়নে ইউনিয়নে এই পদযাত্রা করবে। গণতন্ত্র মঞ্চ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম-পিপলস পার্টি, বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য রাজধানীর বিভিন্ন রুটে পদযাত্রা করবে। গণতন্ত্র মঞ্চ ঢাকা ছাড়াও জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে পদযাত্রা করবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দফতর থেকে ইউনিয়নের পদযাত্রায় স্থানীয় বিএনপি, অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

গণতন্ত্র মঞ্চের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তারা আজ বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমবেত হয়ে মতিঝিল শাপলা চত্বর পর্যন্ত পদযাত্রা করবে। লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) সাড়ে ৩টায় রাজধানীর ভাটারার বাঁশতলা ক্যামব্রিয়ান কলেজের সামনে থেকে শুরু হয়ে বাড্ডা লিংক রোড মোড়ে গিয়ে পদযাত্রা করবে।

১০ দফা দাবিতে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো গত ডিসেম্বর থেকে যে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে এটি (ইউনিয়ন পর্যায়ের পদযাত্রা) পঞ্চম কর্মসূচি। এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর ৯ বিভাগীয় শহরে এবং ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল, ১১ জানুয়ারি সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি এবং ২৫ জানুয়ারি সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং ৪ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। গত ৪ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, ইউনিয়ন পর্যায় থেকে আমরা পদযাত্রা শুরু করছি। এরপর ধীরে ধীরে আমরা উপজেলা-জেলা-মহানগর এবং এরপর লংমার্চের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার মসনদ জনগণ দখল করে নেবে।