ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

স্থিতিশীল সবজির বাজার কমেছে পেঁয়াজের দাম

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০১:১৮:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১৪১৭ বার পড়া হয়েছে

বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় স্থিতিশীল রয়েছে শীতের সবজির বাজার। ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে কেনা যাচ্ছে বেশির ভাগ সবজি। কিছু দিন আগেও বাজারে ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজিই পাওয়া যাচ্ছিল না। একইভাবে বাজারে নতুন আসায় পেঁয়াজের দামও কিছুটা কমেছে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশির ভাগ পণ্যে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বিক্রেতারা বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করছেন। খুচরা বিক্রেতারা বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। আগের সপ্তাহে বাজারে খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজ কেজিতে আরো পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করা হয়েছে।

বাজারে প্রচুর পরিমাণে শীতের সবজির সরবরাহ রয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। নতুন আলু ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে, কচুর লতি ৪০ টাকা, করলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার পিস ৩০ টাকা। ৫০০ গ্রাম ওজনের ছোট বাঁধাকপির পিস ৩০ টাকা। মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। কাঁচা কলার হালি ৩০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। বরবটির কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। বাজারে কাঁচামরিচের প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
পাটশাকের জোড়া আঁটি ২০ টাকা, কলমিশাক জোড়া আঁটি ২০ টাকা, কচুরশাক দুই আঁটি ২০ টাকা, মুলাশাক দুই আঁটি ২৫ টাকা, লাল শাকের জোড়া আঁটি ২০ টাকা, পুঁইশাক ২৫ টাকা, শাপলা ডাঁটা ১৫ টাকা।

বাজারে নতুন চাল এলেও আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে পুরনো চাল। তবে নতুন চাল পুরনোর চেয়ে কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় ব্রি-২৮ চাল কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৫, নতুন ব্রি-২৮ চাল কেজি ৬০ থেকে ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট ৭৫ থেকে ৮০ ও নাজিরশাইল ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। খোলা সুগন্ধি চাল দাম বেড়ে প্রতি কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি প্যাকেট সুগন্ধি চাল ১৬০ টাকা। খোলা আটা কেজি ৬৫ টাকা ও প্যাকেট আটা ৭৫ টাকা। দেশী চিকন মসুর ডাল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। মোটা মসুর ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি। খোলা চিনি এখনো সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কেজিতে ১৩ থেকে ২০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৬৮০-৭২০ টাকা এবং খাসির গোশত ৯০০-৯৫০ টাকা কেজি দরে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা কেজিতে। পাকিস্তানি মুরগি ২৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৩০ টাকা, কক মুরগি ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা পিস।

একইভাবে বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ আকারভেদে বিক্রি করা হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকায়। পাঙ্গাশ মাছ প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। দেড় কেজি ওজনের রুই মাছ প্রতি কেজি ২২০ টাকা, বড় রুইয়ের কেজি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, বড় কাতল মাছ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি, শিং মাছ প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, বোয়াল মাছ আকারভেদে প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা মাছ আকারভেদে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি, কাঁচকি মাছ প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের কই মাছ প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

স্থিতিশীল সবজির বাজার কমেছে পেঁয়াজের দাম

আপডেট সময় ০১:১৮:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২

বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় স্থিতিশীল রয়েছে শীতের সবজির বাজার। ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে কেনা যাচ্ছে বেশির ভাগ সবজি। কিছু দিন আগেও বাজারে ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজিই পাওয়া যাচ্ছিল না। একইভাবে বাজারে নতুন আসায় পেঁয়াজের দামও কিছুটা কমেছে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশির ভাগ পণ্যে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বিক্রেতারা বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করছেন। খুচরা বিক্রেতারা বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। আগের সপ্তাহে বাজারে খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজ কেজিতে আরো পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করা হয়েছে।

বাজারে প্রচুর পরিমাণে শীতের সবজির সরবরাহ রয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। নতুন আলু ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে, কচুর লতি ৪০ টাকা, করলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার পিস ৩০ টাকা। ৫০০ গ্রাম ওজনের ছোট বাঁধাকপির পিস ৩০ টাকা। মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। কাঁচা কলার হালি ৩০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। বরবটির কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। বাজারে কাঁচামরিচের প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
পাটশাকের জোড়া আঁটি ২০ টাকা, কলমিশাক জোড়া আঁটি ২০ টাকা, কচুরশাক দুই আঁটি ২০ টাকা, মুলাশাক দুই আঁটি ২৫ টাকা, লাল শাকের জোড়া আঁটি ২০ টাকা, পুঁইশাক ২৫ টাকা, শাপলা ডাঁটা ১৫ টাকা।

বাজারে নতুন চাল এলেও আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে পুরনো চাল। তবে নতুন চাল পুরনোর চেয়ে কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় ব্রি-২৮ চাল কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৫, নতুন ব্রি-২৮ চাল কেজি ৬০ থেকে ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট ৭৫ থেকে ৮০ ও নাজিরশাইল ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। খোলা সুগন্ধি চাল দাম বেড়ে প্রতি কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি প্যাকেট সুগন্ধি চাল ১৬০ টাকা। খোলা আটা কেজি ৬৫ টাকা ও প্যাকেট আটা ৭৫ টাকা। দেশী চিকন মসুর ডাল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। মোটা মসুর ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি। খোলা চিনি এখনো সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কেজিতে ১৩ থেকে ২০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৬৮০-৭২০ টাকা এবং খাসির গোশত ৯০০-৯৫০ টাকা কেজি দরে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা কেজিতে। পাকিস্তানি মুরগি ২৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৩০ টাকা, কক মুরগি ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা পিস।

একইভাবে বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ আকারভেদে বিক্রি করা হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকায়। পাঙ্গাশ মাছ প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। দেড় কেজি ওজনের রুই মাছ প্রতি কেজি ২২০ টাকা, বড় রুইয়ের কেজি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, বড় কাতল মাছ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি, শিং মাছ প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, বোয়াল মাছ আকারভেদে প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা মাছ আকারভেদে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি, কাঁচকি মাছ প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের কই মাছ প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা।