ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

নির্বাচনে আসুন তখনই দেখা যাবে কার পায়ের নিচে মাটি আছে : কাদের

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১০:৩৩:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১১৩৯ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগ ফাইনাল খেলার জন্য প্রস্তুত। নির্বাচনে আসুন তখনই দেখা যাবে কার পায়ের নিচে মাটি আছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ২০২৩-এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আওয়ামী লীগকে ভয় দেখায় আন্দোলন করে শেখ হাসিনার সরকারকে বিদায় করবে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবে ইত্যাদি। দীর্ঘদিন ধরেই তো আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছেন, কিন্ত সফল হতে পারছেন না। আপনাদের আন্দোলন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। আপনারা মহাসমাবেশ ডাকলে হয় কোনরকম সমাবেশ আর আওয়ামী লীগ সমাবেশ ডাকলে হয়ে যায় মহাসমাবেশ। সুতরাং মনে রাখবেন শেখের বেটি ভয় পায় না। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাবেও না। মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে তারেক রহমান। এখন সে ফেরারী আসামি। লন্ডন বসে বিলাসী জীবন-যাপন করছে আর ফেসবুক লাইভে হুংকার দিচ্ছে।

তিনি বলেন, সাহস থাকলে সামনে আসুন, খেলা হবে, আওয়ামী লীগ খেলার জন্য প্রস্তুত। আওয়ামী লীগ খালি মাঠে গোল দেবে না। তবে আগুন দিতে আসলে ওই হাত পুড়িয়ে দেয়া হবে। আওয়ামী লীগ ফাইনাল খেলার জন্য প্রস্তুত। নির্বাচনে আসুন তখনই দেখা যাবে কার পায়ের নিচে মাটি আছে।

কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী। ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ভয় নেই।

তিনি বলেন, বিএনপির মুখে দুর্নীতির কথা মানায় না। কারণ বিএনপি পাঁচ পাঁচ বার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড আছে।

সেতু মন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলে আমরা নাকি পাল্টা সমাবেশ করি। আমরা পাল্টা সমাবেশ কেন করব! আমরা নির্বাচনের আগ পর্যন্ত প্রতিদিন সভা সমাবেশ করব। ইউনিয়নে ইউনিয়নে মিছিল সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েও তারা করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করছে সারা দেশেই হাজার হাজার মানুষের সমাগম হচ্ছে এতেই বুঝা যায় বিএনপির প্রতি মানুষের সমর্থন নেই।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির অন্তর জ্বালার কারণ সারা দেশে শেখ হাসিনার সরকার যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করছে। একদিনে ১০০ ব্রিজ উদ্বোধন। সুনামগঞ্জ জেলা একসময় গ্রামের বাজারের মত মনে হত আর এখন আধুনিক শহরের পরিবেশ। ১৪ বছর আগের সুনামগঞ্জ আর আজকের সুনামগঞ্জ অনেক পরিবর্তন। সকল উন্নয়নের রূপকার শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে দুটি মানুষের মৃত্যু নেই একজন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর অন্যজন তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন স্বাধীনতা আর শেখ হাসিনা দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি, তাই তারা অমর হয়ে থাকবেন।

সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ও সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। এছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা
জেবুন নেছা হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, ডা. মুশফিকুর রহমান, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজিজুস সামাদ আজাদ ডন, সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, ড. জয়া সেন গুপ্ত,
সংরক্ষিত আসনের সাংসদ শামীমা আক্তার খানম। এছাড়াও সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে ওবায়দুল কাদের সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটকে সভাপতি ও নোমান বখত
পলিনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন। বাকি পূর্ণাঙ্গ কমিটি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

নির্বাচনে আসুন তখনই দেখা যাবে কার পায়ের নিচে মাটি আছে : কাদের

আপডেট সময় ১০:৩৩:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আওয়ামী লীগ ফাইনাল খেলার জন্য প্রস্তুত। নির্বাচনে আসুন তখনই দেখা যাবে কার পায়ের নিচে মাটি আছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ২০২৩-এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আওয়ামী লীগকে ভয় দেখায় আন্দোলন করে শেখ হাসিনার সরকারকে বিদায় করবে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবে ইত্যাদি। দীর্ঘদিন ধরেই তো আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছেন, কিন্ত সফল হতে পারছেন না। আপনাদের আন্দোলন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। আপনারা মহাসমাবেশ ডাকলে হয় কোনরকম সমাবেশ আর আওয়ামী লীগ সমাবেশ ডাকলে হয়ে যায় মহাসমাবেশ। সুতরাং মনে রাখবেন শেখের বেটি ভয় পায় না। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাবেও না। মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে তারেক রহমান। এখন সে ফেরারী আসামি। লন্ডন বসে বিলাসী জীবন-যাপন করছে আর ফেসবুক লাইভে হুংকার দিচ্ছে।

তিনি বলেন, সাহস থাকলে সামনে আসুন, খেলা হবে, আওয়ামী লীগ খেলার জন্য প্রস্তুত। আওয়ামী লীগ খালি মাঠে গোল দেবে না। তবে আগুন দিতে আসলে ওই হাত পুড়িয়ে দেয়া হবে। আওয়ামী লীগ ফাইনাল খেলার জন্য প্রস্তুত। নির্বাচনে আসুন তখনই দেখা যাবে কার পায়ের নিচে মাটি আছে।

কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী। ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ভয় নেই।

তিনি বলেন, বিএনপির মুখে দুর্নীতির কথা মানায় না। কারণ বিএনপি পাঁচ পাঁচ বার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড আছে।

সেতু মন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলে আমরা নাকি পাল্টা সমাবেশ করি। আমরা পাল্টা সমাবেশ কেন করব! আমরা নির্বাচনের আগ পর্যন্ত প্রতিদিন সভা সমাবেশ করব। ইউনিয়নে ইউনিয়নে মিছিল সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েও তারা করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করছে সারা দেশেই হাজার হাজার মানুষের সমাগম হচ্ছে এতেই বুঝা যায় বিএনপির প্রতি মানুষের সমর্থন নেই।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির অন্তর জ্বালার কারণ সারা দেশে শেখ হাসিনার সরকার যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করছে। একদিনে ১০০ ব্রিজ উদ্বোধন। সুনামগঞ্জ জেলা একসময় গ্রামের বাজারের মত মনে হত আর এখন আধুনিক শহরের পরিবেশ। ১৪ বছর আগের সুনামগঞ্জ আর আজকের সুনামগঞ্জ অনেক পরিবর্তন। সকল উন্নয়নের রূপকার শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে দুটি মানুষের মৃত্যু নেই একজন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর অন্যজন তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন স্বাধীনতা আর শেখ হাসিনা দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি, তাই তারা অমর হয়ে থাকবেন।

সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ও সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। এছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা
জেবুন নেছা হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, ডা. মুশফিকুর রহমান, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজিজুস সামাদ আজাদ ডন, সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, ড. জয়া সেন গুপ্ত,
সংরক্ষিত আসনের সাংসদ শামীমা আক্তার খানম। এছাড়াও সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে ওবায়দুল কাদের সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটকে সভাপতি ও নোমান বখত
পলিনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন। বাকি পূর্ণাঙ্গ কমিটি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।