ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

‘পুলিশের ওপর হামলা’ এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে জামায়াতের নিন্দা

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৭:২৮:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১৩৮৮ বার পড়া হয়েছে

পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামীর গণমিছিলের সময় ‘পুলিশের ওপর হামলার’ কথা বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি।

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম এ প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিলের অনুমতি চেয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছ অনলাইনে এবং প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে সশরীরে আবেদন করা হয়। জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণ শাখা পৃথক পৃথকভাবে গণমিছিলের আয়োজন করে। মহানগরী উত্তরের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে বাধা দেয় এবং লাঠিচার্জ, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। হাজার হাজার মানুষের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা দিয়ে পুলিশ বেআইনি কাজ করেছে।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে আমরা বিস্মিত হয়েছি। জামায়াত কখনো পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশকে গুম, পুড়িয়ে মারা এবং কখনো কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করেনি। জামায়াত একটি নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বাংলাদেশে রাজনীতি করছে। প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামী ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। বিএনপি, আওয়ামী লীগের সাথে জামায়াত যুগপৎ ও জোটবদ্ধভাবে আন্দোলন করেছে। শুধু তাই নয়, অতীতের প্রায় সকল সংসদেই জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব ছিল। জামায়াত আজ কোটি কোটি মানুষের প্রিয় সংগঠন। বাংলাদেশের সংবিধান সকল রাজনৈতিক দলকে মিছিল-মিটিং ও সভা-সমাবেশ করার অধিকার দিয়েছে। সংবিধানের এই অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপের কোনো এখতিয়ার কারো নেই। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জামায়াতকে মিছিল করতে না দেয়ার যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা সংবিধান স্বীকৃত অধিকারের পরিপন্থী, সংবিধানের লঙ্ঘন এবং নাগরিক অধিকারের প্রত্যক্ষ বিরোধিতা। রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন অফিসার এই ধরনের কথা বলতে পারেন না।

তিনি বলেন, পুলিশের সাথে জামায়াতের কোনো বিরোধ নেই। রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর জামায়াতের পূর্ণ আস্থা ও সম্মান রয়েছে। জামায়াতকে সভা-সমাবেশ করতে না দেয়া অসাংবিধানিক। আমরা সংবিধানের আলোকে সভা-সমাবেশ ও মিছিলের অধিকার নিশ্চিত করা এবং জনগণকে হয়রানি করা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

-প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

‘পুলিশের ওপর হামলা’ এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে জামায়াতের নিন্দা

আপডেট সময় ০৭:২৮:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২

পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামীর গণমিছিলের সময় ‘পুলিশের ওপর হামলার’ কথা বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি।

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম এ প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিলের অনুমতি চেয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছ অনলাইনে এবং প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে সশরীরে আবেদন করা হয়। জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণ শাখা পৃথক পৃথকভাবে গণমিছিলের আয়োজন করে। মহানগরী উত্তরের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে বাধা দেয় এবং লাঠিচার্জ, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। হাজার হাজার মানুষের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা দিয়ে পুলিশ বেআইনি কাজ করেছে।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে আমরা বিস্মিত হয়েছি। জামায়াত কখনো পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশকে গুম, পুড়িয়ে মারা এবং কখনো কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করেনি। জামায়াত একটি নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বাংলাদেশে রাজনীতি করছে। প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামী ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। বিএনপি, আওয়ামী লীগের সাথে জামায়াত যুগপৎ ও জোটবদ্ধভাবে আন্দোলন করেছে। শুধু তাই নয়, অতীতের প্রায় সকল সংসদেই জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব ছিল। জামায়াত আজ কোটি কোটি মানুষের প্রিয় সংগঠন। বাংলাদেশের সংবিধান সকল রাজনৈতিক দলকে মিছিল-মিটিং ও সভা-সমাবেশ করার অধিকার দিয়েছে। সংবিধানের এই অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপের কোনো এখতিয়ার কারো নেই। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জামায়াতকে মিছিল করতে না দেয়ার যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা সংবিধান স্বীকৃত অধিকারের পরিপন্থী, সংবিধানের লঙ্ঘন এবং নাগরিক অধিকারের প্রত্যক্ষ বিরোধিতা। রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন অফিসার এই ধরনের কথা বলতে পারেন না।

তিনি বলেন, পুলিশের সাথে জামায়াতের কোনো বিরোধ নেই। রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর জামায়াতের পূর্ণ আস্থা ও সম্মান রয়েছে। জামায়াতকে সভা-সমাবেশ করতে না দেয়া অসাংবিধানিক। আমরা সংবিধানের আলোকে সভা-সমাবেশ ও মিছিলের অধিকার নিশ্চিত করা এবং জনগণকে হয়রানি করা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

-প্রেস বিজ্ঞপ্তি