ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পাকিস্তান হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক, যে কথা হলো

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৭:০৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪
  • ১০৯৩ বার পড়া হয়েছে

দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতি এবং দ্বি-পাক্ষিক সহযোগিতা বাড়াতে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

আজ শুক্রবার গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছাড়াও দলের সকল পদ স্থগিত হওয়া শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির আভ্যন্তরীন সূত্রে জানা যায়, দলের কিছু নেতার পরামর্শে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে ধীরে ধীরে পাকিস্তানের সাথে দূরত্ব বজায় রেখে পথ চলে বিএনপি। এর মূল উদ্দেশ্য-ই ছিল ভারতের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক স্থাপন করা। ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে গত ৫ আগস্ট পালিয়ে ভারতে অবস্থান নেয়। দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরেও ভারতের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক আর হয়ে উঠেনি। এই অবস্থায় পাকিস্তান হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের এই বৈঠক কূটনৈতিক অঙ্গনে বেশ গুরুত্ব বহন করে বলে মনে করে বিএনপি নেতারা।

যদিও বৈঠক শেষে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব; কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়-এই নীতিতে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।

তিনি আরও বলেন, ‘এই বৈঠকটি ছিল মূলত সৌজন্য সাক্ষাৎ। দু’ দেশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক যে বিষয়গুলো আছে, যে সম্ভাবনাগুলো আছে যেমন ব্যবসা, বাণিজ্য, অর্থনীতি ও সম্পর্ক-সব কিছু এখানে আলোচনায় উঠে এসেছে।’

আমির খসরু বলেন, ‘মূলত ব্যবসা বাণিজ্যের ভিত্তি হচ্ছে একটি কম্পারেটিভ এডভান্টেস,সেটা এতোদিন বাংলাদেশে অনুপস্থিত ছিল। এখানে পৃষ্ঠপোষকতার ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি ছিল- এতে কিছু লোক লাভবান হয়েছে। এখানে কোনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না। আমরা আলোচনা করেছি বাংলাদেশে লেভে প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী হতে যাচ্ছে, কম্পারেটিভ এডভান্টেসের ভিত্তিতে, যাদের যেখানে এডভান্টেস আছে, সেখানে একে অপরের সাথে সহযোগিতা করব ‘

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ ও দেশের জনগণ কিভাবে উপকৃত হবে,সেই ধরনের অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া সমান অধিকার এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রেখে দ্বি-পাক্ষিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা- আমরা সামনের দিকে এগিয়ে নেব।’

আমির খসরু বলেন, ‘আমাদের সবার স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রেখে পারস্পরিক সু-সম্পর্ক রেখে, শ্রদ্ধা-সম্মান রেখে একে অপরের সাথে যে সম্পর্ক সেটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আলোচনা হয়েছে।’

দক্ষিণ এশিয়ার পুরো রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে আমির খসরুল বলেন, ‘সঙ্গে সঙ্গে পুরো দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে আমরা কী করতে পারি, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দু’দেশ এবং পুরো অঞ্চলের মধ্যে আমরা সহযোগিতা করব, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া। এই অঞ্চলটা সহযোগিতার সূচকে নিচের দিকে, বিশ্বের সবার পেছনে এই অঞ্চলটা। সেখানে আমরা কিভাবে এগিয়ে নেব তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

পাকিস্তান হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক, যে কথা হলো

আপডেট সময় ০৭:০৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪

দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতি এবং দ্বি-পাক্ষিক সহযোগিতা বাড়াতে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

আজ শুক্রবার গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছাড়াও দলের সকল পদ স্থগিত হওয়া শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির আভ্যন্তরীন সূত্রে জানা যায়, দলের কিছু নেতার পরামর্শে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে ধীরে ধীরে পাকিস্তানের সাথে দূরত্ব বজায় রেখে পথ চলে বিএনপি। এর মূল উদ্দেশ্য-ই ছিল ভারতের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক স্থাপন করা। ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে গত ৫ আগস্ট পালিয়ে ভারতে অবস্থান নেয়। দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরেও ভারতের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক আর হয়ে উঠেনি। এই অবস্থায় পাকিস্তান হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের এই বৈঠক কূটনৈতিক অঙ্গনে বেশ গুরুত্ব বহন করে বলে মনে করে বিএনপি নেতারা।

যদিও বৈঠক শেষে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব; কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়-এই নীতিতে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।

তিনি আরও বলেন, ‘এই বৈঠকটি ছিল মূলত সৌজন্য সাক্ষাৎ। দু’ দেশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক যে বিষয়গুলো আছে, যে সম্ভাবনাগুলো আছে যেমন ব্যবসা, বাণিজ্য, অর্থনীতি ও সম্পর্ক-সব কিছু এখানে আলোচনায় উঠে এসেছে।’

আমির খসরু বলেন, ‘মূলত ব্যবসা বাণিজ্যের ভিত্তি হচ্ছে একটি কম্পারেটিভ এডভান্টেস,সেটা এতোদিন বাংলাদেশে অনুপস্থিত ছিল। এখানে পৃষ্ঠপোষকতার ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি ছিল- এতে কিছু লোক লাভবান হয়েছে। এখানে কোনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না। আমরা আলোচনা করেছি বাংলাদেশে লেভে প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী হতে যাচ্ছে, কম্পারেটিভ এডভান্টেসের ভিত্তিতে, যাদের যেখানে এডভান্টেস আছে, সেখানে একে অপরের সাথে সহযোগিতা করব ‘

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ ও দেশের জনগণ কিভাবে উপকৃত হবে,সেই ধরনের অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া সমান অধিকার এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রেখে দ্বি-পাক্ষিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা- আমরা সামনের দিকে এগিয়ে নেব।’

আমির খসরু বলেন, ‘আমাদের সবার স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রেখে পারস্পরিক সু-সম্পর্ক রেখে, শ্রদ্ধা-সম্মান রেখে একে অপরের সাথে যে সম্পর্ক সেটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আলোচনা হয়েছে।’

দক্ষিণ এশিয়ার পুরো রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে আমির খসরুল বলেন, ‘সঙ্গে সঙ্গে পুরো দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে আমরা কী করতে পারি, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দু’দেশ এবং পুরো অঞ্চলের মধ্যে আমরা সহযোগিতা করব, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া। এই অঞ্চলটা সহযোগিতার সূচকে নিচের দিকে, বিশ্বের সবার পেছনে এই অঞ্চলটা। সেখানে আমরা কিভাবে এগিয়ে নেব তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’