ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

জাল মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি: পুলিশ সদস্যের ১২ বছর কারাদণ্ড

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৪:৫৩:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১০৮৯ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার সনদ জাল করে চাকরি নেওয়ার অপরাধে মোরশেদ আলম নামের এক পুলিশ সদস্যের ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৮ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নোয়াখালীর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান এ কারাদণ্ড প্রদান করেন। আসামি পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি অ্যাডভোকেট মো. আবুল কাশেম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২০১২ সালে ফেনী জেলায় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষায় স্থানীয়ভাবে ৭৩ প্রার্থীকে ফেনী পুলিশ লাইন্স মাঠে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়।

বাছাই করা প্রার্থীদের মধ্যে চূড়ান্তভাবে ৪৫ পুরুষের মধ্যে ৯ জনকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিত করা হয়। এর মধ্যে মোরশেদ আলম মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ছিলেন।

তিনি বলেন, চূড়ান্ত হওয়ার পর তাকে ৬ মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণের জন্য মহালছড়ি খাগড়াছড়িতে পাঠানো হয় এবং প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পোস্টিং দেওয়া হয়।

এরই মধ্যে তার দাখিল করা মুক্তিযোদ্ধা সনদ যাচাইয়ের জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে পাঠানো হলে যাচাই-বাছাইয়ে দাখিল করা মুক্তিযোদ্ধা সনদটি জাল প্রমাণিত হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

অ্যাডভোকেট মো. আবুল কাশেম আরও বলেন, মামলার পর আসামি পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

জাল মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি: পুলিশ সদস্যের ১২ বছর কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০৪:৫৩:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নোয়াখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার সনদ জাল করে চাকরি নেওয়ার অপরাধে মোরশেদ আলম নামের এক পুলিশ সদস্যের ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৮ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নোয়াখালীর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান এ কারাদণ্ড প্রদান করেন। আসামি পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি অ্যাডভোকেট মো. আবুল কাশেম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২০১২ সালে ফেনী জেলায় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষায় স্থানীয়ভাবে ৭৩ প্রার্থীকে ফেনী পুলিশ লাইন্স মাঠে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়।

বাছাই করা প্রার্থীদের মধ্যে চূড়ান্তভাবে ৪৫ পুরুষের মধ্যে ৯ জনকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিত করা হয়। এর মধ্যে মোরশেদ আলম মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ছিলেন।

তিনি বলেন, চূড়ান্ত হওয়ার পর তাকে ৬ মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণের জন্য মহালছড়ি খাগড়াছড়িতে পাঠানো হয় এবং প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পোস্টিং দেওয়া হয়।

এরই মধ্যে তার দাখিল করা মুক্তিযোদ্ধা সনদ যাচাইয়ের জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে পাঠানো হলে যাচাই-বাছাইয়ে দাখিল করা মুক্তিযোদ্ধা সনদটি জাল প্রমাণিত হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

অ্যাডভোকেট মো. আবুল কাশেম আরও বলেন, মামলার পর আসামি পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।