ভোলা সদর উপজেলায় ধারালো ছুরি দেখিয়ে এক ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে মো. কবির হোসেন নামের এক যুবলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের হলে অভিযুক্ত কবিরকে ধারালো ছুরিসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এর আগে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে ছুরিসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মো. কবির হোসেন ভোলা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রিজার্ভ পুকুর পাড় এলাকার আব্দুল আজিজ শেখের ছেলে। তিনি স্থানীয় যুবলীগের কর্মী। মামলার বাদী ঠিকাদার জুলফিকার আহমেদ মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, ঠিকাদারি কাজ করার সময় কবির হোসেন যুবলীগ কর্মী পরিচয়ে তার কাছে বিভিন্ন সময়ে চাঁদা দাবি করে আসছে।
কিন্তু তাকে চাঁদা না দেওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে মালামাল নিয়ে যায় কবির। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় ব্যক্তিদের জানালেও কোনো কাজ হয়নি। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর তার কাছে পুনরায় ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে কবির।
তার দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের সদর রোডের কর্মকার ফার্মেসির সামনে প্রকাশ্যে একটি ধারালো ছুরি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করেন। একপর্যায়ে কবিরের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে তাকে আঘাত করতে আসলে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে কবির তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
জুলফিকার আহমেদ বলেন, ভোলা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. মনিরুজ্জামানের ছত্রছায়ায় যুবলীগের দাপট দেখিয়ে শহরের ওয়েস্টার্ন পাড়া এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল কবির।
তার বিরুদ্ধে মাদকসেবনসহ মাদক বিক্রিরও একাধিক অভিযোগ ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পরও তার এ সকল অপকর্ম বন্ধ হয়নি। প্রাণ রক্ষায় ভোলা সদর মডেল থানায় একটি মামলা করি। সন্ধ্যার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছুরিসহ তাকে গ্রেপ্তার করে।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, ঠিকাদার জুলফিকার আহমেদের দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত মো. কবির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে ধারালো একটি ছুরি জব্দ করা হয়েছে।