ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পুলিশের ২ সদস্য রিমান্ডে

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:৫৯:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১০৮৫ বার পড়া হয়েছে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সহকর্মীদের উসকানি দিয়ে পুলিশ বাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগের মামলায় পুলিশের দুই সদস্যের ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেনের শুনানি শেষে এ রিমান্ডের আদেশ দেন।

সাইবার নিরাপত্তা আইনের শাহজাহানপুর থানার এ মামলায় রিমান্ড মুঞ্জর হওয়া আসামিরা হলেন যশোর পুলিশ লাইনে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল শোয়াইবুর রহমান (৩২) ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনে কর্মরত কনস্টেবল সজিব সরকার (২৭)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. খায়রুল ইসলাম আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

এদিকে, রিমান্ড শুনানিকালে আসামিরা বলেছেন, ‘স্বাধীন পুলিশ কমিশন চেয়ে ফেসবুকে লাইভ করার জন্যই তাদের এ মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

আজ আসামিদের বিকেল ৪টার দিকে যখন আদালতে ওঠানো হয় তখন তারা চিৎকার করে বলছিলেন, ‘তাদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতে আনা হয়েছে। আমরা কাউকে খুন করেনি, কাউকে গুলি করেনি। স্বাধীন পুলিশ কমিশন চেয়েছি এটাই আমাদের অপরাধ।’

তাদের কাঠগড়া ওঠানোর পর তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদন করেন। সেখানে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রেফতার আসামিরা ফেসবুকে অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে একে অপরের সহযোগিতায় বিভিন্ন শ্রেণি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা ও ঘৃণা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্টসহ জনসাধারণের সেবা বাধাগ্রস্থ এবং বিনষ্ট করার জন্য উসকানিমূলক বার্তা পোষ্ট করছেন। যা জন শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোনো কাজে বা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্টির সুবিধার্থে ব্যবহার হতে পারে। তাই ঘটনার সঙ্গে কে বা কাহারা জড়িত তা খুঁজে বের করা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ধরনের বিষয় ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনের মাস্টারমাইন্ড কে বা কাহারা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মত একটি সু-শৃঙ্খল বাহিনীতে অরাজকতা বা বিশৃঙ্খল সৃষ্টি করার কারণ উদঘাটন ও অর্থ দাতাদের খুঁজে বের করা। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার এবং সনাক্তকরণের জন্য আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

শুনানিকালে আসামিদের আইনজীবী না থাকায় আসামিরা বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় ছিলাম। আমাদের ডেকে এনে গ্রেপ্তার করে আদালতে আনা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরিবারে সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি।’

তারা বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বিকেল থেকে সিনিয়র অফিসাররা আমাদের রাজারবাগ পুলিশ লাইনে রেখে পালিয়ে যান। আমরা রাজারবাগ পুলিশ লাইনের হেফাজত করেছি। কোটা আন্দোলনের সময় আমাদের অনেক সহকর্মী মারা গেছে। কেন মারা গেছে? আমাদের অফিসাররা সরকারের দালালি করতে গিয়ে আমাদের জনগণের সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়ায় তাদের মরতে হয়েছে। তাই আমরা ৫ আগস্টের পর একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন চেয়ে ফেসবুকে কথা বলেছি। এটাই আমাদের অপরাধ। আমদের মুখ বন্ধ করার জন্য ডেকে এনে এ মামলা দিয়েছে। স্বাধীন পুলিশ কমিশন চাওয়া কি আমাদের অপরাধ?’

বিচারক বলেন, ‘আপনারা অভিযোগ করেছেন, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। এখনই মোবাইল ফোনে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন, মামলা সম্পর্কে জানান।’

তখন একজন পুলিশ সদস্যের মোবাইল দিয়ে তারা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর পর একজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল করে তাদের জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

পুলিশের ২ সদস্য রিমান্ডে

আপডেট সময় ১১:৫৯:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সহকর্মীদের উসকানি দিয়ে পুলিশ বাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগের মামলায় পুলিশের দুই সদস্যের ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেনের শুনানি শেষে এ রিমান্ডের আদেশ দেন।

সাইবার নিরাপত্তা আইনের শাহজাহানপুর থানার এ মামলায় রিমান্ড মুঞ্জর হওয়া আসামিরা হলেন যশোর পুলিশ লাইনে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল শোয়াইবুর রহমান (৩২) ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনে কর্মরত কনস্টেবল সজিব সরকার (২৭)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. খায়রুল ইসলাম আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

এদিকে, রিমান্ড শুনানিকালে আসামিরা বলেছেন, ‘স্বাধীন পুলিশ কমিশন চেয়ে ফেসবুকে লাইভ করার জন্যই তাদের এ মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

আজ আসামিদের বিকেল ৪টার দিকে যখন আদালতে ওঠানো হয় তখন তারা চিৎকার করে বলছিলেন, ‘তাদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতে আনা হয়েছে। আমরা কাউকে খুন করেনি, কাউকে গুলি করেনি। স্বাধীন পুলিশ কমিশন চেয়েছি এটাই আমাদের অপরাধ।’

তাদের কাঠগড়া ওঠানোর পর তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদন করেন। সেখানে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রেফতার আসামিরা ফেসবুকে অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে একে অপরের সহযোগিতায় বিভিন্ন শ্রেণি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা ও ঘৃণা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্টসহ জনসাধারণের সেবা বাধাগ্রস্থ এবং বিনষ্ট করার জন্য উসকানিমূলক বার্তা পোষ্ট করছেন। যা জন শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোনো কাজে বা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্টির সুবিধার্থে ব্যবহার হতে পারে। তাই ঘটনার সঙ্গে কে বা কাহারা জড়িত তা খুঁজে বের করা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ধরনের বিষয় ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনের মাস্টারমাইন্ড কে বা কাহারা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মত একটি সু-শৃঙ্খল বাহিনীতে অরাজকতা বা বিশৃঙ্খল সৃষ্টি করার কারণ উদঘাটন ও অর্থ দাতাদের খুঁজে বের করা। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার এবং সনাক্তকরণের জন্য আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

শুনানিকালে আসামিদের আইনজীবী না থাকায় আসামিরা বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় ছিলাম। আমাদের ডেকে এনে গ্রেপ্তার করে আদালতে আনা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরিবারে সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি।’

তারা বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বিকেল থেকে সিনিয়র অফিসাররা আমাদের রাজারবাগ পুলিশ লাইনে রেখে পালিয়ে যান। আমরা রাজারবাগ পুলিশ লাইনের হেফাজত করেছি। কোটা আন্দোলনের সময় আমাদের অনেক সহকর্মী মারা গেছে। কেন মারা গেছে? আমাদের অফিসাররা সরকারের দালালি করতে গিয়ে আমাদের জনগণের সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়ায় তাদের মরতে হয়েছে। তাই আমরা ৫ আগস্টের পর একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন চেয়ে ফেসবুকে কথা বলেছি। এটাই আমাদের অপরাধ। আমদের মুখ বন্ধ করার জন্য ডেকে এনে এ মামলা দিয়েছে। স্বাধীন পুলিশ কমিশন চাওয়া কি আমাদের অপরাধ?’

বিচারক বলেন, ‘আপনারা অভিযোগ করেছেন, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। এখনই মোবাইল ফোনে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন, মামলা সম্পর্কে জানান।’

তখন একজন পুলিশ সদস্যের মোবাইল দিয়ে তারা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর পর একজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল করে তাদের জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।