ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ঝালকাঠিতে মিথ্যা ডাকাতি মামলায় হয়রানির অভিযোগ

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৬:৩৫:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১০৮৭ বার পড়া হয়েছে

ঝালকাঠির নলছিটিতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একটি পরিবারকে মিথ্যা ডাকাতি মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে নিজ বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সুবিদপুর গ্রামের হানিফ খানের স্ত্রী মোসা. তানিয়া আক্তার এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় আছেন উল্লেখ করে তার ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মোসা. তানিয়া আক্তার বলেন, ‘আমার শ্বশুর শামসুদ্দিন খানের সাথে একই বাড়ির মৃত আবদুর রাজ্জাক খানের ছেলে মনির খান গংদের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে।

যা নিয়ে উভয় পক্ষের আদালতে মামলা চলমান রয়েছেন। মনির খান গং সব সময় আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিন।

গত ২১ আগস্ট মনির খান লোকজন নিয়ে আমাকে পিটিয়ে আহত করে। পরে আমাকে উদ্ধার করে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আমি ২২ দিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলাম।

সেখানে ভর্তি থাকা অবস্থায় গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে মনির খানের বোন দিপা আক্তার মিথ্যা ডাকাতির ঘটনা সাজিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর নলছিটি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার স্বামী হানিফ খান, শ্বশুর শামসুদ্দিন খান, বাবা ফরিদ মৃধা, প্রতিবেশী রায়হান খান ও শাহিন খানকে সন্দেহভাজন আসামি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যেদিন রাতে ডাকাতির ঘটনা সাজানো হয়েছে, সেদিন আমার কানে অপারেশন হওয়ার কারণে আমার বাবা ও স্বামী আমার সঙ্গে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ছিলেন। মামলার আরেকজন সন্দেহভাজন আসামি শাহিন খানও হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন। আমার প্রতিবন্ধী শ্বশুর শামসুদ্দিন খানকে এই সাজানো মিথ্যা ডাকাতি মামলায় সন্দেহভাজন আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার বাদী দিপা আক্তার বলেন,আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। বিচারে যা হয়, সেটাই মেনে নেবো।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

ঝালকাঠিতে মিথ্যা ডাকাতি মামলায় হয়রানির অভিযোগ

আপডেট সময় ০৬:৩৫:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঝালকাঠির নলছিটিতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একটি পরিবারকে মিথ্যা ডাকাতি মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে নিজ বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সুবিদপুর গ্রামের হানিফ খানের স্ত্রী মোসা. তানিয়া আক্তার এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় আছেন উল্লেখ করে তার ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মোসা. তানিয়া আক্তার বলেন, ‘আমার শ্বশুর শামসুদ্দিন খানের সাথে একই বাড়ির মৃত আবদুর রাজ্জাক খানের ছেলে মনির খান গংদের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে।

যা নিয়ে উভয় পক্ষের আদালতে মামলা চলমান রয়েছেন। মনির খান গং সব সময় আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিন।

গত ২১ আগস্ট মনির খান লোকজন নিয়ে আমাকে পিটিয়ে আহত করে। পরে আমাকে উদ্ধার করে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আমি ২২ দিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলাম।

সেখানে ভর্তি থাকা অবস্থায় গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে মনির খানের বোন দিপা আক্তার মিথ্যা ডাকাতির ঘটনা সাজিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর নলছিটি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার স্বামী হানিফ খান, শ্বশুর শামসুদ্দিন খান, বাবা ফরিদ মৃধা, প্রতিবেশী রায়হান খান ও শাহিন খানকে সন্দেহভাজন আসামি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যেদিন রাতে ডাকাতির ঘটনা সাজানো হয়েছে, সেদিন আমার কানে অপারেশন হওয়ার কারণে আমার বাবা ও স্বামী আমার সঙ্গে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ছিলেন। মামলার আরেকজন সন্দেহভাজন আসামি শাহিন খানও হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন। আমার প্রতিবন্ধী শ্বশুর শামসুদ্দিন খানকে এই সাজানো মিথ্যা ডাকাতি মামলায় সন্দেহভাজন আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার বাদী দিপা আক্তার বলেন,আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। বিচারে যা হয়, সেটাই মেনে নেবো।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।