ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পদোন্নতির দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা, যা বললেন পাবিপ্রবির শিক্ষক

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৮:৫০:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১১৪২ বার পড়া হয়েছে

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম আবদুল আলিম পদোন্নতির দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে তার সামনে অবস্থান করতে শুরু করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাকে বুঝিয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহার করান। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

জানতে চাইলে ড. এম আবদুল আলীম বলেন, ‌‘প্রায় চার বছর ধরে আমার পদোন্নতি আটকে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমাকে পদোন্নতি দিতে চার বছর আগেই মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক প্রশাসনকে আমার সম্পর্কে ভুলভাল বুঝিয়ে এই জটিলতা সৃষ্টি করেছে।’

মঙ্গলবার বিকেলে উপাচার্যের সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছে জানিয়ে এই শিক্ষক বলেন, ‘তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টি সুরাহা করার আশ্বাস দিয়েছেন। আমি আপাতত অবস্থান থেকে সরে এসেছি।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন জানান, শিক্ষক আবদুল আলীম সকালে ক্যাম্পাসে এসে প্রথমে নিজের বিভাগে যান। সেখান থেকে দুপুর ১২টার দিকে প্রশাসনিক ভবনে যান। একপর্যায়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন তিনি। কিছুক্ষণ পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্যসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সেখানে এসে তালা ভেঙে ভবনে প্রবেশ করেন। পরে শিক্ষক আবদুল আলীম ভবনের সামনে বসে পড়েন।

এ ব্যাপারে পাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, ‘ড. আবদুল আলীমের ধারণা আগেকার মতো তালা ঝুলিয়ে দিলেই কোনো কার্য হাসিল করা যায়, এটা সঠিক নয়। আমি তাকে ডেকে বুঝিয়ে দিয়েছি। তিনি তার অবস্থান থেকে সরে এসেছেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের দুটি পক্ষ আছে। এক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক প্রক্টর আওয়াল কবির। আবদুল আলীম শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি আওয়াল কবিরের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এম রোস্তম আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ক্যাম্পাসে সোচ্চার হন তারা। তখন উপাচার্যের সঙ্গে আবদুল আলীমের মানসিক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এরপরই আটকে যায় এই শিক্ষকের পদোন্নতি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

পদোন্নতির দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা, যা বললেন পাবিপ্রবির শিক্ষক

আপডেট সময় ০৮:৫০:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম আবদুল আলিম পদোন্নতির দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে তার সামনে অবস্থান করতে শুরু করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাকে বুঝিয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহার করান। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

জানতে চাইলে ড. এম আবদুল আলীম বলেন, ‌‘প্রায় চার বছর ধরে আমার পদোন্নতি আটকে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমাকে পদোন্নতি দিতে চার বছর আগেই মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক প্রশাসনকে আমার সম্পর্কে ভুলভাল বুঝিয়ে এই জটিলতা সৃষ্টি করেছে।’

মঙ্গলবার বিকেলে উপাচার্যের সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছে জানিয়ে এই শিক্ষক বলেন, ‘তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টি সুরাহা করার আশ্বাস দিয়েছেন। আমি আপাতত অবস্থান থেকে সরে এসেছি।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন জানান, শিক্ষক আবদুল আলীম সকালে ক্যাম্পাসে এসে প্রথমে নিজের বিভাগে যান। সেখান থেকে দুপুর ১২টার দিকে প্রশাসনিক ভবনে যান। একপর্যায়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন তিনি। কিছুক্ষণ পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্যসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সেখানে এসে তালা ভেঙে ভবনে প্রবেশ করেন। পরে শিক্ষক আবদুল আলীম ভবনের সামনে বসে পড়েন।

এ ব্যাপারে পাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, ‘ড. আবদুল আলীমের ধারণা আগেকার মতো তালা ঝুলিয়ে দিলেই কোনো কার্য হাসিল করা যায়, এটা সঠিক নয়। আমি তাকে ডেকে বুঝিয়ে দিয়েছি। তিনি তার অবস্থান থেকে সরে এসেছেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের দুটি পক্ষ আছে। এক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক প্রক্টর আওয়াল কবির। আবদুল আলীম শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি আওয়াল কবিরের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এম রোস্তম আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ক্যাম্পাসে সোচ্চার হন তারা। তখন উপাচার্যের সঙ্গে আবদুল আলীমের মানসিক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এরপরই আটকে যায় এই শিক্ষকের পদোন্নতি।