ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন হপফিল্ড ও হিন্টন

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৭:১২:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
  • ১০৮৭ বার পড়া হয়েছে

চলতি বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন বিজ্ঞানী জন জে হপফিল্ড ও কানাডিয়ান বিজ্ঞানী জেফরি ই হিন্টন । কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেশিন লার্নিং সম্ভবপর করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য তাদের এ পুরস্কার দেয়া হয়। তাদের গবেষণা মেশিন লার্নিং ও এআই, তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

হপফিল্ড এমন একটি গঠন বানিয়েছেন, যা তথ্য জমা করে রাখার পাশাপাশি আবার রিকনস্ট্রাক্টও (পুনর্গঠন) করতে পারে। আর হিন্টন এমন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন, যা স্বাধীনভাবে তথ্যের মধ্যকার বৈশিষ্ট্য খুঁজে বের করতে পারে। বর্তমানে ব্যবহৃত নিউরাল নেটওয়ার্কগুলোর পেছনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে

বাংলাদেশ সময় সোমবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোম থেকে এ বছরের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।

তিনজন বিজ্ঞানী গত বছরের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন ইলেকট্রনের অতিদ্রুত ঘূর্ণনের জগতে প্রথম সেকেন্ডের ভগ্নাংশের ঝলক দেখানোর জন্য। এমন একটি ক্ষেত্র যা একদিন আরও ভালো ইলেকট্রনিক্স বা রোগ নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

২০২৩ সালের পুরস্কারটি ফরাসি-সুইডিশ পদার্থবিজ্ঞানী অ্যান এল’হুইলিয়ার, ফরাসি বিজ্ঞানী পিয়েরে অ্যাগোস্টিনি এবং হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত ফেরেঙ্ক ক্রাউসকে প্রতিটি পরমাণুর ক্ষুদ্র অংশ নিয়ে তাদের কাজের জন্য দেয়া হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রুভকুন তাদের জেনেটিক উপাদানের ক্ষুদ্র বিট আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসায় পুরস্কার জিতে নেন। সোমবার তাদের পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে ছয় দিনের নোবেল পুরস্কার ঘোষণা শুরু হয়েছে। তাদের আবিষ্কার হলো কোষের অভ্যন্তরে সুইচগুলো চালু এবং বন্ধ করা, কোষগুলো কী করে এবং কখন এটি করে তা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

বিজ্ঞানীরা যদি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারেন যে, তারা কীভাবে কাজ করে এবং কীভাবে তাদের কাজে লাগানো যায়, তবে এটি একদিন ক্যান্সারের মতো রোগের শক্তিশালী চিকিৎসার পথ সুগম করতে পারে।

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারের প্রবর্তক সুইডিশ উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া উইল থেকে নগদ ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত এই পুরস্কার ১১৭ বার দেয়া হয়েছে। সাধারণত ১০ ডিসেম্বর নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে পুরস্কার গ্রহণের জন্য বিজয়ীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।

বুধবার রসায়ন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল এবং বৃহস্পতিবার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। আর আগামী শুক্রবার নোবেল শান্তি পুরস্কার এবং ১৪ অক্টোবর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হবে।

নোবেলজয়ী এই বিজ্ঞানীরা পাবেন একটি নোবেল মেডেল, একটি সনদপত্র এবং মোট ১১ মিলিয়ন বা ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা। এর বর্তমান বাজারমূল্য ১০ লাখ ৬৭ হাজার মার্কিন ডলার, বাংলাদেশী টাকায় হবে প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ২ নোবেলজয়ীর মধ্যে এই ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা ভাগ হয়ে যাবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন হপফিল্ড ও হিন্টন

আপডেট সময় ০৭:১২:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

চলতি বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন বিজ্ঞানী জন জে হপফিল্ড ও কানাডিয়ান বিজ্ঞানী জেফরি ই হিন্টন । কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেশিন লার্নিং সম্ভবপর করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য তাদের এ পুরস্কার দেয়া হয়। তাদের গবেষণা মেশিন লার্নিং ও এআই, তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

হপফিল্ড এমন একটি গঠন বানিয়েছেন, যা তথ্য জমা করে রাখার পাশাপাশি আবার রিকনস্ট্রাক্টও (পুনর্গঠন) করতে পারে। আর হিন্টন এমন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন, যা স্বাধীনভাবে তথ্যের মধ্যকার বৈশিষ্ট্য খুঁজে বের করতে পারে। বর্তমানে ব্যবহৃত নিউরাল নেটওয়ার্কগুলোর পেছনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে

বাংলাদেশ সময় সোমবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোম থেকে এ বছরের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।

তিনজন বিজ্ঞানী গত বছরের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন ইলেকট্রনের অতিদ্রুত ঘূর্ণনের জগতে প্রথম সেকেন্ডের ভগ্নাংশের ঝলক দেখানোর জন্য। এমন একটি ক্ষেত্র যা একদিন আরও ভালো ইলেকট্রনিক্স বা রোগ নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

২০২৩ সালের পুরস্কারটি ফরাসি-সুইডিশ পদার্থবিজ্ঞানী অ্যান এল’হুইলিয়ার, ফরাসি বিজ্ঞানী পিয়েরে অ্যাগোস্টিনি এবং হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত ফেরেঙ্ক ক্রাউসকে প্রতিটি পরমাণুর ক্ষুদ্র অংশ নিয়ে তাদের কাজের জন্য দেয়া হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রুভকুন তাদের জেনেটিক উপাদানের ক্ষুদ্র বিট আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসায় পুরস্কার জিতে নেন। সোমবার তাদের পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে ছয় দিনের নোবেল পুরস্কার ঘোষণা শুরু হয়েছে। তাদের আবিষ্কার হলো কোষের অভ্যন্তরে সুইচগুলো চালু এবং বন্ধ করা, কোষগুলো কী করে এবং কখন এটি করে তা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

বিজ্ঞানীরা যদি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারেন যে, তারা কীভাবে কাজ করে এবং কীভাবে তাদের কাজে লাগানো যায়, তবে এটি একদিন ক্যান্সারের মতো রোগের শক্তিশালী চিকিৎসার পথ সুগম করতে পারে।

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারের প্রবর্তক সুইডিশ উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া উইল থেকে নগদ ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত এই পুরস্কার ১১৭ বার দেয়া হয়েছে। সাধারণত ১০ ডিসেম্বর নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে পুরস্কার গ্রহণের জন্য বিজয়ীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।

বুধবার রসায়ন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল এবং বৃহস্পতিবার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। আর আগামী শুক্রবার নোবেল শান্তি পুরস্কার এবং ১৪ অক্টোবর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হবে।

নোবেলজয়ী এই বিজ্ঞানীরা পাবেন একটি নোবেল মেডেল, একটি সনদপত্র এবং মোট ১১ মিলিয়ন বা ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা। এর বর্তমান বাজারমূল্য ১০ লাখ ৬৭ হাজার মার্কিন ডলার, বাংলাদেশী টাকায় হবে প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ২ নোবেলজয়ীর মধ্যে এই ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা ভাগ হয়ে যাবে।