ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কেমন আছেন নিবিড়, জানালেন বাবা

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৫:০৮:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১১৩০ বার পড়া হয়েছে

পড়াশোনার জন্য কানাডায় থাকেন নন্দিত সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের একমাত্র ছেলে নিবিড় কুমার। সেখানে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি। খবর পেয়ে দ্রুত কানাডার উদ্দেশ্যে উড়াল দেন এই গায়ক।

বর্তমানে টরেন্টোর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন নিবিড় কুমার। তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। হার্ট ও পালস দুটোই ভালো আছে। আরও একটি বড় সার্জারি হবে। এরপর অনেকটাই শঙ্কামুক্ত হবেন নিবিড়।

বুধবার মধ্য রাতে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘ওর শরীর আগের থেকে কিছুটা ভালো। আরেকটা বড় অপারেশন হবে। তোরা সবাই আমার ছেলেটার জন্য দোয়া করিস। দেশবাসী ও আমার ভক্তদের বলব, সবাই আমার ছেলেটার জন্য দোয়া করবেন।’
এদিকে, কুমার বিশ্বজিতের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও চ্যানেল আইয়ের জেনারেল ম্যানেজার ইজাজ খান স্বপন জানান, নিবিড়ের শরীরে কিছু অংশ পুড়েছে। তবে হার্ট ও পালস দুটোই ভালো আছে। দ্বিতীয় অপারেশন শেষে তাকে চিকিৎসকরা ১৮ ঘন্টার অবজারভেশনে রেখেছেন।

সংগীতশিল্পী কিশোর দাসও নিয়মিত কুমার বিশ্বজিতের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তার ভাষ্য, ‘নিবিড়ের অবস্থা উন্নতির দিকে। মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ দয়ায় নিবিড় গতকালকের চেয়ে এই মুহূর্তে ভালো আছে। নিবিড়ের কাকা অভিজিৎ দা ও ওর বাবা কুমার বিশ্বজিৎ স্যারের সঙ্গে কথা হলো। আগামী ৬ ঘন্টার ভেতর নিবিড়ের সার্জারি হবে।’

নিবিড়ের জন্য প্রার্থনা এবং গুজব না রটানোর অনুরোধ জানিয়ে কিশোর বলেন, ‘ঈশ্বর ওকে বাবা-মার কোলে সুস্থ ভাবে ফিরিয়ে দিক। সবাই ওকে আপনাদের আশীর্বাদ ও দোয়ায় রাখবেন। আর কেউ এই বিষয়ে ভুল কোনও তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না, সবার কাছে এই অনুরোধ রইলো।’

উল্লেখ্য, দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে টরন্টো পুলিশ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, টরন্টোর স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন নিবিড়। আরোহী ছিলেন শাহরিয়ার, অ্যাঞ্জেলা ও আরিয়ান। খুব দ্রুতগতিতে চলার কারণে এক হাইওয়ে থেকে আরেক হাইওয়েতে উঠতে টার্ন নেওয়ার সময় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। পরে গাড়িটি হাইওয়ের রেলিংয়ে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে আগুন ধরে যায় এবং ঘটনাস্থলেই দুজন আরোহী মারা যান।

হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়। নিহত তিনজনও বাংলাদেশ থেকে কানাডায় পড়াশোনা করতে গেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। এ ঘটনায় টরন্টোতে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোক বিরাজ করছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

কেমন আছেন নিবিড়, জানালেন বাবা

আপডেট সময় ০৫:০৮:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

পড়াশোনার জন্য কানাডায় থাকেন নন্দিত সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের একমাত্র ছেলে নিবিড় কুমার। সেখানে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি। খবর পেয়ে দ্রুত কানাডার উদ্দেশ্যে উড়াল দেন এই গায়ক।

বর্তমানে টরেন্টোর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন নিবিড় কুমার। তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। হার্ট ও পালস দুটোই ভালো আছে। আরও একটি বড় সার্জারি হবে। এরপর অনেকটাই শঙ্কামুক্ত হবেন নিবিড়।

বুধবার মধ্য রাতে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘ওর শরীর আগের থেকে কিছুটা ভালো। আরেকটা বড় অপারেশন হবে। তোরা সবাই আমার ছেলেটার জন্য দোয়া করিস। দেশবাসী ও আমার ভক্তদের বলব, সবাই আমার ছেলেটার জন্য দোয়া করবেন।’
এদিকে, কুমার বিশ্বজিতের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও চ্যানেল আইয়ের জেনারেল ম্যানেজার ইজাজ খান স্বপন জানান, নিবিড়ের শরীরে কিছু অংশ পুড়েছে। তবে হার্ট ও পালস দুটোই ভালো আছে। দ্বিতীয় অপারেশন শেষে তাকে চিকিৎসকরা ১৮ ঘন্টার অবজারভেশনে রেখেছেন।

সংগীতশিল্পী কিশোর দাসও নিয়মিত কুমার বিশ্বজিতের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তার ভাষ্য, ‘নিবিড়ের অবস্থা উন্নতির দিকে। মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ দয়ায় নিবিড় গতকালকের চেয়ে এই মুহূর্তে ভালো আছে। নিবিড়ের কাকা অভিজিৎ দা ও ওর বাবা কুমার বিশ্বজিৎ স্যারের সঙ্গে কথা হলো। আগামী ৬ ঘন্টার ভেতর নিবিড়ের সার্জারি হবে।’

নিবিড়ের জন্য প্রার্থনা এবং গুজব না রটানোর অনুরোধ জানিয়ে কিশোর বলেন, ‘ঈশ্বর ওকে বাবা-মার কোলে সুস্থ ভাবে ফিরিয়ে দিক। সবাই ওকে আপনাদের আশীর্বাদ ও দোয়ায় রাখবেন। আর কেউ এই বিষয়ে ভুল কোনও তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না, সবার কাছে এই অনুরোধ রইলো।’

উল্লেখ্য, দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে টরন্টো পুলিশ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, টরন্টোর স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন নিবিড়। আরোহী ছিলেন শাহরিয়ার, অ্যাঞ্জেলা ও আরিয়ান। খুব দ্রুতগতিতে চলার কারণে এক হাইওয়ে থেকে আরেক হাইওয়েতে উঠতে টার্ন নেওয়ার সময় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। পরে গাড়িটি হাইওয়ের রেলিংয়ে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে আগুন ধরে যায় এবং ঘটনাস্থলেই দুজন আরোহী মারা যান।

হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়। নিহত তিনজনও বাংলাদেশ থেকে কানাডায় পড়াশোনা করতে গেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। এ ঘটনায় টরন্টোতে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোক বিরাজ করছে।