ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আট লাখ ইয়াবা পাচার : ভোলার আলীসহ তিন রোহিঙ্গার ১৫ বছর করে কারাদন্ড

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৫:০৮:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১১৩২ বার পড়া হয়েছে

আট লাখ ইয়াবা টেবলেট পাচারের মামলায় কক্সবাজারে ৩ রোহিঙ্গা সহ ৪ জনকে ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। একইসাথে দন্ডিতদের প্রত্যেককে ২ লক্ষ টাকা করে অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ রায় ঘোষণা করেন।

দন্ডিতরা হলেন ভোলা জেলার চরফ্যাশনের দৌলতপুরের সোবহান হাওলাদার এর পুত্র মোহাম্মদ আলী। এছাড়া তিন রোহিঙ্গা হলেন মিয়ানমারের মংডু জেলার আলী টানজুর হাশুরাতা এলাকার আবুল বশরের পুত্র হাফিজুল্লাহ, মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার বুচিডং এর কিতারবিল এলাকার নজু মিয়ার পুত্র মোঃ জামিল এবং মিয়ানমারের মংডুর নারীরবিল এলাকার মৃত হোছনের পুত্র বদি আলম।

রাষ্ট্রপক্ষে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ফরিদ এবং আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট সাঈদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী ও অ্যাডভোকেট মঈনুল আমিন আদালতে মামলাটি পরিচালনা করেন।

একই কার্যালয়ের জেলা নাজির বেদারুল আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রায় ঘোষণার সময় দন্ডিত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ: ২০১৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৪ টার দিকে র‍্যাব-৭ এর টেকনাফের অস্থায়ী ক্যাম্পের একটি টিম ৪ জন লোক সহ টেকনাফের দক্ষিণ লম্বরীঘাট গভীর সমুদ্রে একটি কাঠের তৈরি বোট আটক করে। পরে কাঠের বোটটির পেছনের অংশ তল্লাশী করে ৮ লক্ষ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করে এবং কাঠের তৈরি নৌকাটি জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় র‍্যাব-৭ এর ডিএডি নাজমুল হুদা বাদী হয়ে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মোহাম্মদ আলী, ৩ রোহিঙ্গা হাফিজুল্লাহ, মোঃ জামিল এবং বদি আলম-কে আসামী করে টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার টেকনাফ থানা মামলা নম্বর : ২৮/২০১৭ ইংরেজি। জিআর মামলা নম্বর : ৭৪১/২০১৭ ইংরেজি (টেকনাফ) এবং এসটি মামলা নম্বর : ২৩১৯/২০১৭ ইংরেজি।

বিচার ও রায় : মামলাটি বিচারের জন্য কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ২০১৯ সালের ৯ মে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামী পক্ষে সাক্ষীদের জেরা, আলামত প্রদর্শন, রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট যাচাই, আসামীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ, যুক্তিতর্ক শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য বুধবার দিন ধার্য করা হয়।

রায় ঘোষণার দিনে বিচারক কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল ৪ জন আসামিকে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) সারণীর ৯(খ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে উপরোক্ত সাজা প্রদান করেন।

রায়ে দন্ডিত ৩ জন রোহিঙ্গার সাজার মেয়াদ শেষ হলে আইনানুগ ব্যবস্থায় তাদেরকে মিয়ানমারে পুশব্যাক করার জন্য বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল কক্সবাজারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

আট লাখ ইয়াবা পাচার : ভোলার আলীসহ তিন রোহিঙ্গার ১৫ বছর করে কারাদন্ড

আপডেট সময় ০৫:০৮:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আট লাখ ইয়াবা টেবলেট পাচারের মামলায় কক্সবাজারে ৩ রোহিঙ্গা সহ ৪ জনকে ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। একইসাথে দন্ডিতদের প্রত্যেককে ২ লক্ষ টাকা করে অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ রায় ঘোষণা করেন।

দন্ডিতরা হলেন ভোলা জেলার চরফ্যাশনের দৌলতপুরের সোবহান হাওলাদার এর পুত্র মোহাম্মদ আলী। এছাড়া তিন রোহিঙ্গা হলেন মিয়ানমারের মংডু জেলার আলী টানজুর হাশুরাতা এলাকার আবুল বশরের পুত্র হাফিজুল্লাহ, মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার বুচিডং এর কিতারবিল এলাকার নজু মিয়ার পুত্র মোঃ জামিল এবং মিয়ানমারের মংডুর নারীরবিল এলাকার মৃত হোছনের পুত্র বদি আলম।

রাষ্ট্রপক্ষে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ফরিদ এবং আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট সাঈদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী ও অ্যাডভোকেট মঈনুল আমিন আদালতে মামলাটি পরিচালনা করেন।

একই কার্যালয়ের জেলা নাজির বেদারুল আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রায় ঘোষণার সময় দন্ডিত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ: ২০১৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৪ টার দিকে র‍্যাব-৭ এর টেকনাফের অস্থায়ী ক্যাম্পের একটি টিম ৪ জন লোক সহ টেকনাফের দক্ষিণ লম্বরীঘাট গভীর সমুদ্রে একটি কাঠের তৈরি বোট আটক করে। পরে কাঠের বোটটির পেছনের অংশ তল্লাশী করে ৮ লক্ষ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করে এবং কাঠের তৈরি নৌকাটি জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় র‍্যাব-৭ এর ডিএডি নাজমুল হুদা বাদী হয়ে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মোহাম্মদ আলী, ৩ রোহিঙ্গা হাফিজুল্লাহ, মোঃ জামিল এবং বদি আলম-কে আসামী করে টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার টেকনাফ থানা মামলা নম্বর : ২৮/২০১৭ ইংরেজি। জিআর মামলা নম্বর : ৭৪১/২০১৭ ইংরেজি (টেকনাফ) এবং এসটি মামলা নম্বর : ২৩১৯/২০১৭ ইংরেজি।

বিচার ও রায় : মামলাটি বিচারের জন্য কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ২০১৯ সালের ৯ মে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামী পক্ষে সাক্ষীদের জেরা, আলামত প্রদর্শন, রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট যাচাই, আসামীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ, যুক্তিতর্ক শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য বুধবার দিন ধার্য করা হয়।

রায় ঘোষণার দিনে বিচারক কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল ৪ জন আসামিকে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) সারণীর ৯(খ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে উপরোক্ত সাজা প্রদান করেন।

রায়ে দন্ডিত ৩ জন রোহিঙ্গার সাজার মেয়াদ শেষ হলে আইনানুগ ব্যবস্থায় তাদেরকে মিয়ানমারে পুশব্যাক করার জন্য বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল কক্সবাজারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন।