ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

শেখ পরিবারের কারোরই রাজনীতিতে ফেরার সম্ভাবনা নেই : তাজউদ্দীনের মেয়ে

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৬:২৬:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪
  • ১০৮৭ বার পড়া হয়েছে

শেখ পরিবারের কারোরই রাজনীতিতে ফেরার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক তাজউদ্দীন আহমদের বড় মেয়ে শারমিন আহমদ।

তিনি বলছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশে মাফিয়া লীগে পরিণত হয়েছিল। শেখ হাসিনা বা তার পরিবারের কারো আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই।

শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরসহ নেতৃত্বে থাকা দলের নেতাদের বিচারের দাবিও করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

শারমিন আহমদ বলেন, মাফিয়াতন্ত্রের সাথে জড়িতদের দল থেকে বহিষ্কার করে, পরিচ্ছন্ন কারোর হাতে নেতৃত্ব দিলে এক বা দুই যুগ পরে আওয়ামী লীগ আবার দেশে রাজনীতির মাঠে ফিরে আসতে পারে। তবে আপাতত এ ধরনের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর শারমিন আহমদের মা জোহরা তাজউদ্দীন আওয়ামী লীগের হাল ধরে বিলুপ্তির হাত থেকে দলটিকে রক্ষা করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার মা দলের হাল ধরেছিলেন। কিন্তু পররবর্তীতে সে দলটি হাইজ্যাক হয়ে গেল এবং একটি পরিবারের হাতে বন্দি হয়ে গেল। এবারের ব্যাপারটা কিন্তু আরো ভিন্ন। কারণ গণঅভ্যুত্থানের সময় এবার এ দলটির হাতে এত এত তরুণের মৃত্যু, জনগণের মৃত্যু, কারো মেরুদণ্ডের হাড়ের মধ্যে এখনো বুলেট। কাজেই আমরা কেন আওয়ামী লীগে যাব? এ আওয়ামী লীগ তো একটি মাফিয়া লীগ। তো এই মাফিয়া লীগকে আমরা গড়ব যাদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই?

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ভালো লোকগুলোকে একত্র করে, জনতার পাশে দাঁড়িয়ে মাফিয়া লীগের নেতৃত্বে যারা ছিল তাদের বহিষ্কারের দাবি জানাতে হবে।

জাতির জনক প্রসঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের মেয়ে বলেন, কাউকে জাতির জনক বলার আগে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধে কার কী ভূমিকা ছিল সেটা বিবেচনায় নিতে হবে। এটা জনগণই নির্ধারণ করবে। মুক্তিযুদ্ধের আসল ঘটনা জাতির সামনে খুলে দেয়া হলে জনগণই সেটা বিবেচনা করবে, কার কী ভূমিকা ছিল। জনগণ যদি দেখে মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, তাহলে তারাই সেটা ঠিক করবে। আর জনগণ যদি মনে করে, তার সেই ধরনের ভূমিকা ছিল না, তাহলে সেটা হবে না।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

শেখ পরিবারের কারোরই রাজনীতিতে ফেরার সম্ভাবনা নেই : তাজউদ্দীনের মেয়ে

আপডেট সময় ০৬:২৬:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

শেখ পরিবারের কারোরই রাজনীতিতে ফেরার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক তাজউদ্দীন আহমদের বড় মেয়ে শারমিন আহমদ।

তিনি বলছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশে মাফিয়া লীগে পরিণত হয়েছিল। শেখ হাসিনা বা তার পরিবারের কারো আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই।

শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরসহ নেতৃত্বে থাকা দলের নেতাদের বিচারের দাবিও করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

শারমিন আহমদ বলেন, মাফিয়াতন্ত্রের সাথে জড়িতদের দল থেকে বহিষ্কার করে, পরিচ্ছন্ন কারোর হাতে নেতৃত্ব দিলে এক বা দুই যুগ পরে আওয়ামী লীগ আবার দেশে রাজনীতির মাঠে ফিরে আসতে পারে। তবে আপাতত এ ধরনের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর শারমিন আহমদের মা জোহরা তাজউদ্দীন আওয়ামী লীগের হাল ধরে বিলুপ্তির হাত থেকে দলটিকে রক্ষা করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার মা দলের হাল ধরেছিলেন। কিন্তু পররবর্তীতে সে দলটি হাইজ্যাক হয়ে গেল এবং একটি পরিবারের হাতে বন্দি হয়ে গেল। এবারের ব্যাপারটা কিন্তু আরো ভিন্ন। কারণ গণঅভ্যুত্থানের সময় এবার এ দলটির হাতে এত এত তরুণের মৃত্যু, জনগণের মৃত্যু, কারো মেরুদণ্ডের হাড়ের মধ্যে এখনো বুলেট। কাজেই আমরা কেন আওয়ামী লীগে যাব? এ আওয়ামী লীগ তো একটি মাফিয়া লীগ। তো এই মাফিয়া লীগকে আমরা গড়ব যাদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই?

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ভালো লোকগুলোকে একত্র করে, জনতার পাশে দাঁড়িয়ে মাফিয়া লীগের নেতৃত্বে যারা ছিল তাদের বহিষ্কারের দাবি জানাতে হবে।

জাতির জনক প্রসঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের মেয়ে বলেন, কাউকে জাতির জনক বলার আগে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধে কার কী ভূমিকা ছিল সেটা বিবেচনায় নিতে হবে। এটা জনগণই নির্ধারণ করবে। মুক্তিযুদ্ধের আসল ঘটনা জাতির সামনে খুলে দেয়া হলে জনগণই সেটা বিবেচনা করবে, কার কী ভূমিকা ছিল। জনগণ যদি দেখে মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, তাহলে তারাই সেটা ঠিক করবে। আর জনগণ যদি মনে করে, তার সেই ধরনের ভূমিকা ছিল না, তাহলে সেটা হবে না।