বরিশাল স্টেডিয়াম থেকে ক্রিকেট চর্চা করে ফেরার পথে গাড়িচাপায় স্কুলছাত্র নিহতের ঘটনায় বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেছে নিহতের সহপাঠিরা। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নগরীর আমতলা মোড় এলাকার সড়ক অবরোধ করে নিহতের সহপাঠিরা।
গতকাল মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনের সড়কে বিকেল পাঁচটার দিকে দুর্ঘটনায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মো. ওহি নিহত হয়। নিহত ওহি বরিশাল ব্যাপ্টিস্ট মিশন স্কুলের ছাত্র।
তার বাবা মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. হাসান ও মাতা মাকসুদা আক্তার নগরীর সাগরদি চান্দু মার্কেট এলাকার বাসিন্দা।
নিহতের সহপাঠিরা ও প্রতিষ্ঠানের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা আমতলা মোড় এলাকার আশপাশে জড়ো হতে থাকে। পৌনে ১২টার দিকে তারা বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে। ফলে কুয়াকাটা, ঝালকাঠী, বরগুনা, পটুয়াখালীর সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সড়কের দুই পাশে শতশত যান আটকা পড়ে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্কুলশিক্ষার্থী ফাহিম বলে, ‘স্টেডিয়ামে ক্রিকেট চর্চা করে আমরা দুজন যার যার বাইসাইকেল চালিয়ে বাসায় ফিরছিলাম। হাসপাতালের সামনে পৌঁছামাত্র দ্রুত গতিতে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি এসে ওহিকে বাই সাইকেলসহ চাপা দেয়। আমি তাৎক্ষণিক নেমে সবার সাহায্য চেয়ে চিৎকার করলে সেনাবাহিনীর গাড়ি থেকে একজন নামেন। তখনো ওহির গলার ওপরে গাড়ির চাকা ছিল। সেই সেনা সদস্য ওহিকে দেখে আবার গাড়িতে উঠে পুনরায় ওহির গলায় গাড়িটি উঠিয়ে দেয়।’
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী পারভেজ বলে, ‘আমিও দেখেছি। সেনাবাহিনীর গাড়িটি কোনো হর্ন দেয়নি। পেছন থেকে এসে চাপা দেয়। একবার নয় দুইবার চাকা ওহির গলায় উঠিয়ে দেয়। আমরা এর বিচার চাই। চোখের সামনে আমরা আমাদের ভাইকে হারিয়েছি।’
হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, ‘মুমূর্ষাবস্থায় আহত ওহিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন সেনা সদস্যরা। জরুরী চিকিৎসার জন্য সার্জারি ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। ওয়ার্ডে পৌঁছার আগেই মারা যায় ওহি।’
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’