ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

অন্ধকার কেটে যাবে : ড. মোশাররফ

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৮:০৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৪৭ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ একটি ক্লান্তিকাল অতিক্রম করছে। তবে অন্ধকার কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ, আলোর পথে বাংলাদেশ।’

রোববার (১ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক ছাত্রসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সঞ্চালনায় ছাত্রসমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ঢাকার সমাবেশ বানচাল করতে সরকার বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করেছে। সরকার যত নির্যাতন-নিপীড়ন করুক আন্দোলনকে দমানো যাবে না। জনগণ রাস্তায় নেমেছে, আর রক্ষা নাই। দশ দফা বাস্তবায়ন করাই বিএনপির প্রধান চ্যালেঞ্জ। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দশ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে।’

‘অন্ধকার কেটে যাবে, আলোর পথে বাংলাদেশ,’ বলেন তিনি।

মোশাররফ বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বর্গতিতে সরকারি সিন্ডিকেটের লোকজন পকেটভর্তি করেছে। বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সরকারের অবৈধ নির্দেশ মানার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘গণতন্ত্রকে পদদলিত করেছে সরকার। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী জেলখানায়। ছাত্রদলকে উঠে দাঁড়াতে হবে। না দাঁড়াতে পারলে নেতাকর্মীদের জেলখানায়ই থাকতে হবে। ২০২৩ সাল হবে কলঙ্কমুক্ত সাল। এ বছর বেগম জিয়াকে মুক্ত করা হবে, মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘রাজপথে সবকিছুর ফয়সালা হবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতায় হস্তান্তর করা না হলে ছাত্রদল ৯০-এর মতো গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে সরকারের পতন ঘটাবে।’

সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত রাজপথে থাকার অঙ্গীকার করেন তিনি।

ছাত্রদলের অপর সাবেক সভাপতি ও বিএনপির বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘সারাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে সরকার। এ অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে সরকারকে ক্ষমতায় থেকে বিদায় করতে হবে। সরকারের সময় ফুরিয়ে গেছে। ধানাই-পানাই করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না। সরকার চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকতে চায়। ২০২৩ সালে গণতন্ত্র ও বেগম জিয়াকে মুক্ত করার বছর।’

ছাত্রদলের নেতারা বলেন, বিএনপির ‘ভ্যানগার্ড’ খ্যাত এই সংগঠনটি আগামীর আন্দোলনে সামনে থেকে কর্মসূচি পালন করবে ইনশাআল্লাহ।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আজিজুর বারী হেলাল, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানসহ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

অন্ধকার কেটে যাবে : ড. মোশাররফ

আপডেট সময় ০৮:০৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ একটি ক্লান্তিকাল অতিক্রম করছে। তবে অন্ধকার কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ, আলোর পথে বাংলাদেশ।’

রোববার (১ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক ছাত্রসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সঞ্চালনায় ছাত্রসমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ঢাকার সমাবেশ বানচাল করতে সরকার বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করেছে। সরকার যত নির্যাতন-নিপীড়ন করুক আন্দোলনকে দমানো যাবে না। জনগণ রাস্তায় নেমেছে, আর রক্ষা নাই। দশ দফা বাস্তবায়ন করাই বিএনপির প্রধান চ্যালেঞ্জ। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দশ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে।’

‘অন্ধকার কেটে যাবে, আলোর পথে বাংলাদেশ,’ বলেন তিনি।

মোশাররফ বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বর্গতিতে সরকারি সিন্ডিকেটের লোকজন পকেটভর্তি করেছে। বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সরকারের অবৈধ নির্দেশ মানার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘গণতন্ত্রকে পদদলিত করেছে সরকার। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী জেলখানায়। ছাত্রদলকে উঠে দাঁড়াতে হবে। না দাঁড়াতে পারলে নেতাকর্মীদের জেলখানায়ই থাকতে হবে। ২০২৩ সাল হবে কলঙ্কমুক্ত সাল। এ বছর বেগম জিয়াকে মুক্ত করা হবে, মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘রাজপথে সবকিছুর ফয়সালা হবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতায় হস্তান্তর করা না হলে ছাত্রদল ৯০-এর মতো গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে সরকারের পতন ঘটাবে।’

সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত রাজপথে থাকার অঙ্গীকার করেন তিনি।

ছাত্রদলের অপর সাবেক সভাপতি ও বিএনপির বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘সারাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে সরকার। এ অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে সরকারকে ক্ষমতায় থেকে বিদায় করতে হবে। সরকারের সময় ফুরিয়ে গেছে। ধানাই-পানাই করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না। সরকার চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকতে চায়। ২০২৩ সালে গণতন্ত্র ও বেগম জিয়াকে মুক্ত করার বছর।’

ছাত্রদলের নেতারা বলেন, বিএনপির ‘ভ্যানগার্ড’ খ্যাত এই সংগঠনটি আগামীর আন্দোলনে সামনে থেকে কর্মসূচি পালন করবে ইনশাআল্লাহ।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আজিজুর বারী হেলাল, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানসহ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।