ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

২০২২ সালে বরিশালে পানিতে ডুবে ১৩১ জনের মৃত্যু

সদ্য শেষ হওয়া ২০২২ সালে সারাদেশে পানিতে ডুবে ৯ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর হার বেড়েছে। এসময়ে পানিতে ডুবে মৃতদের মধ্যে ৮১ শতাংশের বয়স ছিল ৯ বছরের কম। আগের বছরের তুলনায় এ হার ৮ শতাংশ বেশি। হতভাগ্য এসব শিশুদের ৬১ শতাংশ তাদের চতুর্থ জন্মদিনের আগেই মারা গেছে।

গত ১২ মাসে গণমাধ্যমে প্রকাশিত পানিতে ডুবে এক হাজার ১৩০টি মৃত্যুর ঘটনা বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় গণমাধ্যম উন্নয়ন ও যোগাযোগ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সমষ্টি জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের গণমাধ্যম এবং নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত পানিতে ডুবে মৃত্যুর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া যায়।

রোববার (১ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, ২০২০ ও ২০২১ সালে ৯ বছর বয়সীদের পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার ছিল যথাক্রমে ৬৫ ও ৭৩ শতাংশ। এ দুই বছরে যথাক্রমে ৮০৭ ও ১ হাজার ৩৪৭টি মৃত্যুর খবর সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে।

কোথায় কত মৃত্যু: প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ২০২২ সালে চট্টগ্রাম বিভাগে সর্বোচ্চ ২৮২ জন পানিতে ডুবে মারা যায়। এছাড়া রংপুর বিভাগে ১৬০, ঢাকায় ১৪৯ জন, বরিশালে ১৩১, রাজশাহীতে ১১০, ময়মনসিংহে ১০৪, খুলনায় ১০৩ জন ও সিলেট বিভাগে ৯১ জন মারা যায়

গণমাধ্যম প্রতিবেদন অনুসারে চট্টগ্রাম জেলায় গত এক বছরে সবচেয়ে বেশি মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়, ৭৩ জন। পরবর্তী স্থানগুলোতে রয়েছে পঞ্চগড়, নেত্রকোনা, চাঁদপুর, কক্সবাজার ও পটুয়াখালী জেলা। এসব জেলায় যথাক্রমে ৪৭, ৪৭, ৪৬, ৪১ ও ৩৬ জন মারা যায়।

বয়স: ২০২২ সালে পানিতে ডুবে মৃতদের ৯৪ শতাংশের বয়স ১৮ বছরের নিচে। এদের মধ্যে চার বছর বা তারও কম বয়সী ৫৫৬ জন, ৫ থেকে ৯ বছর বয়সী ৩৬৩ জন, ১০-১৪ বছরের ১০২ জন এবং ১৫-১৮ বছরের ৪৩ জন। ৬৬ জনের বয়স ছিল ১৮ বছরের বেশি।

পানিতে ডুবে নিহতদের মধ্যে ৪১২ জন নারী। এদের মধ্যে কন্যা শিশু ৪০০ জন। পুরুষ মারা যায় ৭০৮ জন, যাদের মধ্যে ৬৬৪ জন শিশু। প্রকাশিত সংবাদ থেকে ১০ জনের লৈঙ্গিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

দিনের প্রথম ভাগে অর্থাৎ সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে ৩৫৫ জন এবং দুপুর থেকে সন্ধ্যার আগে ৬৮৬ জন মারা যায়। এছাড়া সন্ধ্যায় ৭০ জন মারা যায়। ১৯ জন রাতের বেলায় পানিতে ডোবে।

কোন মাসে বেশি মৃত্যু: গত এক বছরের হিসাবে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে আগস্ট মাসে। এ মাসে ১৬২ জন পানিতে ডুবে মারা যায়। এছাড়া জুন মাসে ১৪৩ জন এবং মে ও সেপ্টেম্বর মাসে ১২৮ জনের মৃত্যুর খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

একাধিক স্বজন হারিয়েছে ৪৯ পরিবার: এসময়ে ৪৯টি পরিবারের ৯৮ জন সদস্য পানিতে ডুবে মারা যায়। এদের মধ্যে জমজ শিশু ছিল ১৪ জন। এছাড়া শিশুর সঙ্গে ভাই অথবা বোনসহ ৪২ জন, চাচাতো, মামাতো বা খালাতো ভাই বা বোনসহ ৪২ জন মারা যায়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

২০২২ সালে বরিশালে পানিতে ডুবে ১৩১ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় ০৯:৩৭:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩

সদ্য শেষ হওয়া ২০২২ সালে সারাদেশে পানিতে ডুবে ৯ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর হার বেড়েছে। এসময়ে পানিতে ডুবে মৃতদের মধ্যে ৮১ শতাংশের বয়স ছিল ৯ বছরের কম। আগের বছরের তুলনায় এ হার ৮ শতাংশ বেশি। হতভাগ্য এসব শিশুদের ৬১ শতাংশ তাদের চতুর্থ জন্মদিনের আগেই মারা গেছে।

গত ১২ মাসে গণমাধ্যমে প্রকাশিত পানিতে ডুবে এক হাজার ১৩০টি মৃত্যুর ঘটনা বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় গণমাধ্যম উন্নয়ন ও যোগাযোগ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সমষ্টি জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের গণমাধ্যম এবং নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত পানিতে ডুবে মৃত্যুর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া যায়।

রোববার (১ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, ২০২০ ও ২০২১ সালে ৯ বছর বয়সীদের পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার ছিল যথাক্রমে ৬৫ ও ৭৩ শতাংশ। এ দুই বছরে যথাক্রমে ৮০৭ ও ১ হাজার ৩৪৭টি মৃত্যুর খবর সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে।

কোথায় কত মৃত্যু: প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ২০২২ সালে চট্টগ্রাম বিভাগে সর্বোচ্চ ২৮২ জন পানিতে ডুবে মারা যায়। এছাড়া রংপুর বিভাগে ১৬০, ঢাকায় ১৪৯ জন, বরিশালে ১৩১, রাজশাহীতে ১১০, ময়মনসিংহে ১০৪, খুলনায় ১০৩ জন ও সিলেট বিভাগে ৯১ জন মারা যায়

গণমাধ্যম প্রতিবেদন অনুসারে চট্টগ্রাম জেলায় গত এক বছরে সবচেয়ে বেশি মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়, ৭৩ জন। পরবর্তী স্থানগুলোতে রয়েছে পঞ্চগড়, নেত্রকোনা, চাঁদপুর, কক্সবাজার ও পটুয়াখালী জেলা। এসব জেলায় যথাক্রমে ৪৭, ৪৭, ৪৬, ৪১ ও ৩৬ জন মারা যায়।

বয়স: ২০২২ সালে পানিতে ডুবে মৃতদের ৯৪ শতাংশের বয়স ১৮ বছরের নিচে। এদের মধ্যে চার বছর বা তারও কম বয়সী ৫৫৬ জন, ৫ থেকে ৯ বছর বয়সী ৩৬৩ জন, ১০-১৪ বছরের ১০২ জন এবং ১৫-১৮ বছরের ৪৩ জন। ৬৬ জনের বয়স ছিল ১৮ বছরের বেশি।

পানিতে ডুবে নিহতদের মধ্যে ৪১২ জন নারী। এদের মধ্যে কন্যা শিশু ৪০০ জন। পুরুষ মারা যায় ৭০৮ জন, যাদের মধ্যে ৬৬৪ জন শিশু। প্রকাশিত সংবাদ থেকে ১০ জনের লৈঙ্গিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

দিনের প্রথম ভাগে অর্থাৎ সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে ৩৫৫ জন এবং দুপুর থেকে সন্ধ্যার আগে ৬৮৬ জন মারা যায়। এছাড়া সন্ধ্যায় ৭০ জন মারা যায়। ১৯ জন রাতের বেলায় পানিতে ডোবে।

কোন মাসে বেশি মৃত্যু: গত এক বছরের হিসাবে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে আগস্ট মাসে। এ মাসে ১৬২ জন পানিতে ডুবে মারা যায়। এছাড়া জুন মাসে ১৪৩ জন এবং মে ও সেপ্টেম্বর মাসে ১২৮ জনের মৃত্যুর খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

একাধিক স্বজন হারিয়েছে ৪৯ পরিবার: এসময়ে ৪৯টি পরিবারের ৯৮ জন সদস্য পানিতে ডুবে মারা যায়। এদের মধ্যে জমজ শিশু ছিল ১৪ জন। এছাড়া শিশুর সঙ্গে ভাই অথবা বোনসহ ৪২ জন, চাচাতো, মামাতো বা খালাতো ভাই বা বোনসহ ৪২ জন মারা যায়।