ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

গ্রিসে বৈধ হতে ৬ হাজার বাংলাদেশির আবেদন

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১২:০৪:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১১৬২ বার পড়া হয়েছে

গ্রিসে অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের দীর্ঘদিন পর বৈধতার সুযোগ দিয়েছে দেশটির সরকার। গ্রিস ও বাংলাদেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তির আওতায় এই সুযোগ পাচ্ছেন প্রবাসীরা।

গত বৃহস্পতিবার গ্রিসে বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে শুরু হয়েছে বৈধকরণ প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন করে বৈধ হওয়ার সুযোগ পাবেন দেশটিতে বসবাসরত অবৈধ প্রবাসীরা। এখন পর্যন্ত আবেদন করেছেন ৬ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি। তারা সবাই অবৈধভাবে সেখানে অবস্থা করছেন।

গ্রিসে অবস্থানরত ১৫ হাজার বাংলাদেশিকে বৈধতা দিতে এবং দেশটির কৃষিখাতে প্রতিবছর চার হাজার মৌসুমি কর্মী আনার লক্ষ্যে গত বছর দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। আলোচিত এই বৈধকরণ প্রক্রিয়াটি চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। চলমান এই প্রক্রিয়ায় বৈধ হতে ন্যূনতম দুই বছর মেয়াদি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, গ্রিসে বসবাস এবং বৈধতার পর চাকরি পাবেন সম্ভাব্য নিয়োগকর্তার কাছ থেকে—এমন একটি প্রত্যয়নপত্র জমা দেওয়া শর্তে নিবন্ধিত হচ্ছেন অবৈধ প্রবাসীরা।

নিয়মিতকরণ প্রক্রিয়ায় যাচাই-বাছাই করার বিষয়ে দেশটির আশ্রয় ও অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ দূতাবাস নিবন্ধিত হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের বিষয়ে তথ্য দিয়েছে। পরবর্তীতে এসব তথ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সেগুলো মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল পরিষেবায় স্থানান্তর করা হবে। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি অনলাইনে কোনো জটিলতা ছাড়াই সম্পন্ন হচ্ছে। বৈধকরণের এই প্রক্রিয়াটি ১১ জানুয়ারি থেকে আগামী জুন মাস পর্যন্ত চলমান থাকবে। তবে সমঝোতা চুক্তির আওতায় ১৫ হাজার বাংলাদেশির আবেদনের শর্ত পূরণ না হলে আবেদন প্রক্রিয়া আরও বাড়ানো হতে পারে।

বাংলাদেশি যেসব অবৈধ প্রবাসী বৈধকরণ প্রক্রিয়ায় আবেদন করবেন, তারা সবাই বৈধ হতে পারবেন কি না—এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জনস্বার্থ ও জননিরাপত্তার হুমকি হতে পারে—এমন ব্যক্তিদের আবেদন বৈধতার জন্য বিবেচনায় নেওয়া হবে না। এ ছাড়া বসবাসের অনুমতি পেতে মিথ্যা ও জাল নথি এবং অন্য কোনো উপায়ে প্রতারণার আশ্রয় নিলে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে। ইতোমধ্যে একজন ব্যক্তির আবেদন জননিরাপত্তার কারণে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। সম্ভাব্য নিয়োগকর্তার কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র জমা দেওয়ার শর্ত পূরণ করা না হলেও আবেদন বাতিলের ঝুঁকি থাকতে পারে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

গ্রিসে বৈধ হতে ৬ হাজার বাংলাদেশির আবেদন

আপডেট সময় ১২:০৪:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

গ্রিসে অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের দীর্ঘদিন পর বৈধতার সুযোগ দিয়েছে দেশটির সরকার। গ্রিস ও বাংলাদেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তির আওতায় এই সুযোগ পাচ্ছেন প্রবাসীরা।

গত বৃহস্পতিবার গ্রিসে বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে শুরু হয়েছে বৈধকরণ প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন করে বৈধ হওয়ার সুযোগ পাবেন দেশটিতে বসবাসরত অবৈধ প্রবাসীরা। এখন পর্যন্ত আবেদন করেছেন ৬ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি। তারা সবাই অবৈধভাবে সেখানে অবস্থা করছেন।

গ্রিসে অবস্থানরত ১৫ হাজার বাংলাদেশিকে বৈধতা দিতে এবং দেশটির কৃষিখাতে প্রতিবছর চার হাজার মৌসুমি কর্মী আনার লক্ষ্যে গত বছর দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। আলোচিত এই বৈধকরণ প্রক্রিয়াটি চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। চলমান এই প্রক্রিয়ায় বৈধ হতে ন্যূনতম দুই বছর মেয়াদি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, গ্রিসে বসবাস এবং বৈধতার পর চাকরি পাবেন সম্ভাব্য নিয়োগকর্তার কাছ থেকে—এমন একটি প্রত্যয়নপত্র জমা দেওয়া শর্তে নিবন্ধিত হচ্ছেন অবৈধ প্রবাসীরা।

নিয়মিতকরণ প্রক্রিয়ায় যাচাই-বাছাই করার বিষয়ে দেশটির আশ্রয় ও অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ দূতাবাস নিবন্ধিত হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের বিষয়ে তথ্য দিয়েছে। পরবর্তীতে এসব তথ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সেগুলো মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল পরিষেবায় স্থানান্তর করা হবে। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি অনলাইনে কোনো জটিলতা ছাড়াই সম্পন্ন হচ্ছে। বৈধকরণের এই প্রক্রিয়াটি ১১ জানুয়ারি থেকে আগামী জুন মাস পর্যন্ত চলমান থাকবে। তবে সমঝোতা চুক্তির আওতায় ১৫ হাজার বাংলাদেশির আবেদনের শর্ত পূরণ না হলে আবেদন প্রক্রিয়া আরও বাড়ানো হতে পারে।

বাংলাদেশি যেসব অবৈধ প্রবাসী বৈধকরণ প্রক্রিয়ায় আবেদন করবেন, তারা সবাই বৈধ হতে পারবেন কি না—এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জনস্বার্থ ও জননিরাপত্তার হুমকি হতে পারে—এমন ব্যক্তিদের আবেদন বৈধতার জন্য বিবেচনায় নেওয়া হবে না। এ ছাড়া বসবাসের অনুমতি পেতে মিথ্যা ও জাল নথি এবং অন্য কোনো উপায়ে প্রতারণার আশ্রয় নিলে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে। ইতোমধ্যে একজন ব্যক্তির আবেদন জননিরাপত্তার কারণে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। সম্ভাব্য নিয়োগকর্তার কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র জমা দেওয়ার শর্ত পূরণ করা না হলেও আবেদন বাতিলের ঝুঁকি থাকতে পারে।